রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলত্তি’র বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। স্পেনের ট্যাক্স অফিসকে ১ মিলিয়নের বেশি ইউরো (প্রায় ১২ কোটি টাকার বেশি) প্রতারণা করার অভিযোগে তিনি এখন বিচারের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন।
বুধবার (যেহেতু মূল নিবন্ধে বুধবার উল্লেখ করা হয়েছে) এই মামলার শুনানির কথা রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, আনচেলত্তি ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে তার ইমেজ স্বত্বের অর্থ গোপন করতে স্পেনের বাইরের কিছু শেল কোম্পানি ব্যবহার করেছেন। প্রসিকিউটররা তার চার বছর নয় মাসের কারাদণ্ড চেয়েছেন।
তাদের দাবি, কর ফাঁকি দিতে তিনি এই কৌশল অবলম্বন করেছেন।
আনচেলত্তি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আদালতের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চান।
গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আমি চিন্তিত নই, তবে অবশ্যই আমি বিরক্ত, যদি কেউ বলে যে আমি প্রতারণা করেছি। আমি সত্যিই বুধবার সাক্ষ্য দিতে চাই।”
স্পেনে খেলোয়াড় এবং কোচের কর ফাঁকির ঘটনা নতুন নয়। এর আগে, বার্সেলোনার হয়ে খেলার সময় লিওনেল মেসি এবং তার বাবা ইমেজ স্বত্বের ওপর কর ফাঁকি দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
যদিও তাদের কারাদণ্ড হয়নি। একইভাবে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় কর ফাঁকি দেওয়ায় দোষ স্বীকার করে জরিমানা দিয়েছিলেন।
হোসে মরিনহোও রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার থাকাকালীন সময়ে কর ফাঁকির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
এছাড়াও, গায়ক শাকিরা এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড় দিয়েগো কস্তার মতো খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিরাও অতীতে স্প্যানিশ ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছিলেন।
এই ঘটনাগুলো স্প্যানিশ ফুটবলে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কর ফাঁকি এবং আর্থিক স্বচ্ছতার গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান