রিবা ম্যাকইনটায়ারের বাড়ি: ন্যাশভিলের বাড়িতে ভালোবাসার ছোঁয়া!

ঘর, এই ছোট্ট শব্দটি কত গভীর আবেগ আর স্মৃতির সঙ্গে জড়িত, তাই না? প্রতিটি মানুষের কাছেই তার ঘর এক একটি আশ্রয়স্থল, যেখানে শান্তি আর ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে থাকে।

সম্প্রতি, জনপ্রিয় মার্কিন শিল্পী, অভিনেত্রী ও উদ্যোক্তা রিবা ম্যাকইনটায়ার তার বাড়ির কিছু বিশেষ দিক নিয়ে কথা বলেছেন, যা তার ঘরকে সত্যিকারের ‘ঘর’-এর অনুভূতি দেয়।

৬৯ বছর বয়সী রিবা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় এবং গানের জগতে সুপরিচিত, সম্প্রতি একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এই সূত্রে তিনি জানান, একটি বাড়িকে আপন করে তোলার জন্য কিছু জরুরি বিষয় রয়েছে।

তার মতে, ঘরকে ভালোবাসার জায়গা করে তুলতে দরকার ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্ন, যা গল্প বলে। আরামদায়ক পরিবেশ এবং পছন্দের জিনিসপত্র দিয়ে ঘর সাজানো হলে, তা মনকে শান্তি দেয়।

রিবার ভাষায়, “আমার বাড়িগুলো সবসময়ই খোলামেলা, যেখানে জুতো খুলে হাঁটার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আড়ম্বরপূর্ণ কিছু না হলেও, এটি বাসযোগ্য, শ্বাস নেওয়ার মতো, এবং আনন্দের জায়গা।”

রিবার তিনটি বাড়ির মধ্যে একটি লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং দুটি রয়েছে ন্যাশভিলে। তবে, টেনেসির ন্যাশভিলের বাড়িটি তার সবচেয়ে প্রিয়।

এই বাড়ির চারপাশে বয়ে যাওয়া দুটি ছোট নদী তাকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যায়। রিবা বলেন, “নদীর বয়ে যাওয়া, নতুন জীবনের প্রতীক, যা সবসময় চলমান, যা আমার জীবনের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরে।”

তিনি আরও জানান, এই বাড়ির একটি বিশেষত্ব আছে, সেটি হলো একসময় এটি আদিবাসী আমেরিকান উপজাতিদের শিকারের স্থান ছিল।

ঘরের ভেতরের আকর্ষণ নিয়েও কথা বলেছেন রিবা। তার মতে, রান্নাঘর সবসময়ই তার প্রিয় জায়গা, যেখানে পরিবারের সবাই একসঙ্গে সময় কাটায়।

তিনি বলেন, “ছোটবেলায় আমার বাবা-মা একই বাড়িতে থাকতেন, দাদা-দাদিও ছিলেন একই ছাদের নিচে। এখন মানুষের জীবনে বাড়ির ধারণা অনেক বদলে গেছে, অনেকের একাধিক বাড়ি থাকে।”

রিবা ম্যাকইনটায়ারের এই ঘর-ভাবনা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ঘর শুধু একটি বাসস্থান নয়, এটি আমাদের আবেগ, স্মৃতি আর ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।

আপনার ঘরকে কীভাবে আরও আপন করে তুলবেন, রিবার কথাগুলো থেকে সেই ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *