রান্নার জগতে বিপ্লব! ছোটদের জন্য রেবেল গার্লস-এর ডেজার্ট রেসিপি!

তরুণ রন্ধনশিল্পীদের উৎসাহিত করতে ‘রেবেল গার্লস মেক ডেজার্ট’।

ছোট্ট মেয়ে শিশুদের রান্নার প্রতি আগ্রহ জাগাতে এবং তাদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে ‘রেবেল গার্লস’ নিয়ে এসেছে নতুন একটি কুকবুক – ‘রেবেল গার্লস মেক ডেজার্ট’। ফুড নেটওয়ার্কের ‘গার্ল মিটস ফার্ম’ খ্যাত মলি ইয়েহ’সহ আরও অনেক স্বনামধন্য শেফ এই বইটির জন্য রেসিপি তৈরি করেছেন।

এই কুকবুকে আছে ৮০টির বেশি রেসিপি। যেকোনো অভিজ্ঞ রাঁধুনি থেকে শুরু করে একদম নতুন – যে কেউ, এমনকি যাদের রান্নার প্রাথমিক জ্ঞানও নেই, তারাও এই বইটির সাহায্য নিয়ে মজাদার ডেজার্ট বানাতে পারবে। ব্রাউন বাটার ওটমিল কুকিজ, স্ট্রবেরি শর্টকেক, গায়ানিস পাইন টার্ট-এর মতো নানা পদের রেসিপি রয়েছে এতে।

বইটিতে শুধু রেসিপিই নয়, বরং রান্নার বিভিন্ন কৌশল এবং ইতিহাসের প্রভাবশালী নারীদের সম্পর্কেও নানান তথ্য রয়েছে। রেসিপিগুলোর সঙ্গে দেওয়া নির্দেশিকাগুলো অনুসরণ করে যেকোনো শিশু খুব সহজেই নিজের পছন্দসই খাবার তৈরি করতে পারবে। রেসিপি তৈরির পাশাপাশি, এই বইটির মূল উদ্দেশ্য হলো মেয়ে শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং তাদের ভেতরের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা।

এই বইটির অন্যতম আকর্ষণ হলো এতে অংশ নেওয়া শেফদের খ্যাতি। মলি ইয়েহ ছাড়াও এই বইটির সঙ্গে যুক্ত আছেন ফ্লার বেকারি + ক্যাফের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জোয়ানে চাং, ‘নাদিয়াস টাইম টু ইট’ খ্যাত নাদিয়া হোসেন, এবং ফুড নেটওয়ার্কের ‘স্মিটেন কিচেন’-এর ডেব পেরেলম্যান-এর মতো বিশ্বখ্যাত রন্ধনশিল্পীরা।

মলি ইয়েহ বলেছেন, “এই বইটির মাধ্যমে আমরা শিশুদের শুধু রেসিপি অনুসরণ করতে শেখাইনি, বরং তাদের নিজেদের স্বাদ ও রুচি অনুযায়ী কিছু তৈরি করার স্বাধীনতা দিয়েছি। রান্নার জগতে যে কত দারুণ পেশা রয়েছে, যেমন রেসিপি তৈরি করা, সে সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়েছে।”

‘রেবেল গার্লস’ একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, যা মেয়ে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ও ধারণা দিয়ে তাদের উৎসাহিত করে। তারা বিভিন্ন কনটেন্ট, পণ্য এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মেয়ে শিশুদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে। ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ‘রেবেল গার্লস’ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৪০ মিলিয়ন তরুণীর কাছে পৌঁছে গেছে এবং ৬২টি ভাষায় তাদের ১ কোটির বেশি বই বিক্রি হয়েছে।

বাংলাদেশেও কি এই বই পাওয়া যাবে? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে আসতেই পারে। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে সরাসরি এই বই পাওয়া যাচ্ছে না, তবে অনলাইনে এটি কেনার সুযোগ আছে। ভবিষ্যতে হয়তো বাংলা ভাষায় এর সংস্করণ পাওয়া যেতে পারে, যা আমাদের দেশের মেয়ে শিশুদের জন্য রান্নার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *