ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমানের দুটি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, যেখানে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি অত্যাধুনিক এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত না হলেও, কয়েকজন নাবিক ও বৈমানিক আহত হয়েছেন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে গত ২৮শে এপ্রিল, যখন একটি এফ/এ-১৮ই বিমানকে টেনে নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি সাগরে পড়ে যায়। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ৬ই মে, ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরীতে অবতরণের সময়।
জানা গেছে, অবতরণের সময় বিমানের ‘টেইল হুক’ নামক যন্ত্রাংশটি কাজে আসেনি, ফলে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাগরে পতিত হয়। দ্বিতীয় দুর্ঘটনায় বিমানের দুই বৈমানিক প্যারাস্যুটের মাধ্যমে নিরাপদে বের হতে পারলেও সামান্য আহত হয়েছেন।
এছাড়া, প্রথম ঘটনায় একজন নাবিক আহত হয়েছিলেন। মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, উভয় ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট বিমানগুলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এবং সামরিক শক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি বিমানের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে বিশাল একটি অংক।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক নৌ-চলাচলে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, যার কারণ হিসেবে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দায়ী করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ ও নৌবহরের ওপর তাদের হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিমান দুর্ঘটনার দিনেই হুতি বিদ্রোহীরা ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যানের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। লোহিত সাগর দিয়ে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথগুলি যায়, যার ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতিও নির্ভরশীল।
তাই, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তথ্য সূত্র: পিপল