আমেরিকার জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী এবং “পায়োনিয়ার ওম্যান” খ্যাত রি ড্রামন্ড সম্প্রতি তার স্বাস্থ্য বিষয়ক অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। ২০১৬ সালে প্রায় ২৫ কেজি ওজন কমানোর পর তিনি আবার স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় ফিরে এসেছেন।
নিজের ব্লগে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
৫৬ বছর বয়সী রি ড্রামন্ড, যিনি ২০১৯ সালে তার ওজন কমানোর পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন, সেই সাফল্যের চার বছর পরে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, প্রথম দিকে সফল হলেও, পরে কিছু ওজন বেড়ে যায়।
২০২৩ সালের শেষের দিকে তিনি ব্যায়াম করা বন্ধ করে দেন এবং খাদ্যাভ্যাসের দিকেও তেমন মনোযোগ দেননি।
তবে, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিনি আবার তার পুরনো স্বাস্থ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করতে শুরু করেন। রি ড্রামন্ড জানান, এইবার তিনি আগের চেয়ে একটু ভিন্নভাবে সবকিছু করছেন।
তার মতে, শরীরের পেশি গঠন করাটা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিয়মিতভাবে “লাঞ্জেস”, “স্কোয়াট”, “ডেডলিফট” এবং অন্যান্য শারীরিক কসরত করছেন, যা পেশি গঠনে সাহায্য করে।
এছাড়াও, তিনি তার খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়েছেন। যদিও আগে তিনি খাবার ওজন করে খেতেন এবং ক্যালোরি হিসাব করতেন, এবার সেই কাজটি করছেন না।
তবে, তিনি খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন রয়েছেন। রি ড্রামন্ড মনে করেন, এই পরিবর্তনের ফলে তিনি আগের চেয়ে অনেক ভালো অনুভব করছেন।
এইবার তিনি মদ্যপানের ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন। তিনি সামান্য পরিমাণে ওয়াইন, “টোপো চিকো” স্পার্কলিং ওয়াটারের সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন, যা অনেকটা ওয়াইন স্প্রিটজারের মতো।
নিজের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার বিষয়ে রি ড্রামন্ড আরও বলেন, “আমি এখনো ‘হ্যাপি স্কেল’ অ্যাপটি ব্যবহার করি। ওজন বাড়ার সময় আমি এটি ব্যবহার করিনি, কিন্তু এখন এটি খুবই সহায়ক।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, পেশি গঠন করা এবং খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের সঠিক পরিমাণ রাখাটা খুবই জরুরি।
ফেব্রুয়ারিতে ওজন কমা কঠিন ছিল, তবে পায়ের ব্যায়াম শুরু করার এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি ইতিবাচক ফল পেতে শুরু করেন।
রি ড্রামন্ডের এই অভিজ্ঞতা আমাদের সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস জরুরি।
ওজন কমা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, এবং এখানে ধৈর্য্য ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: পিপল