যুক্তরাজ্যে উপনির্বাচনে চাঞ্চল্য, মাত্র ৬ ভোটে জয়ী ‘রিফর্ম ইউকে’।
যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া রানকোর্ন এবং হেলসবি উপনির্বাচনে খুবই সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করেছে ‘রিফর্ম ইউকে’ নামের একটি দল।
এই জয় ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলটির প্রার্থী সারা পচিন মাত্র ৬ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন, যা যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।
নির্বাচনে ‘রিফর্ম ইউকে’ ৩৮.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে, যেখানে লেবার পার্টি পায় সামান্য কম ভোট। কনজারভেটিভ পার্টি সহ অন্যান্য দলগুলো উল্লেখযোগ্য ভোট পেলেও তারা জয়ের ধারে কাছেও ভিড়তে পারেনি।
এই উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৬.৩৩ শতাংশ।
এই উপনির্বাচনের ফল যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে একটি নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভোটাররা এখন পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থা হারাচ্ছে এবং নতুন বিকল্প খুঁজছে।
‘রিফর্ম ইউকে’র এই জয় প্রমাণ করে যে দলটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করছে এবং আগামী নির্বাচনে তারা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ‘রিফর্ম ইউকে’র নেতা নাইজেল ফারাজ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এখন বিরোধী দল।” তিনি আরও বলেন, “এই জয় আমাদের দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং এটি সারাদেশে ঘটছে।”
উপনির্বাচনের কারণ ছিল লেবার পার্টির সংসদ সদস্য মাইক অ্যামেসবারির পদত্যাগ। তিনি এর আগে একটি ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
‘রিফর্ম ইউকে’ অভিবাসন এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের মতো বিষয়গুলো সামনে এনে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে, যা তাদের এই জয়ে সহায়তা করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই উপনির্বাচনের ফলাফল যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। লেবার পার্টির জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা, কারণ আগামী নির্বাচনে তাদের অনেক আসন হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, ‘রিফর্ম ইউকে’র এই জয় তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করবে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান