প্রেমের সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে মতের অমিল? কিভাবে সামলানো যায় এই পরিস্থিতি?
বর্তমান সমাজে ভালোবাসার সম্পর্কগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানুষই চায় তার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সম্পর্কের শুরুতে সবকিছু ভালো চললেও, কিছু মাস বা বছর পর সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরতে শুরু করে।
এর মূল কারণ হতে পারে সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক, শারীরিক অথবা জীবনযাত্রার ধরনে মতের অমিল। সম্প্রতি, এমন একটি সমস্যার কথা জানা গেছে যেখানে একজন ৩০ বছর বয়সী যুবক তার বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন অনুভব করছেন।
ছেলেটির প্রধান সমস্যা হল, তার সঙ্গীর সঙ্গে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে মিল নেই। তাদের শারীরিক সম্পর্ক তেমন গভীর নয়। ছেলেটি আরও নতুন কিছু চেষ্টা করতে চাইলেও, তার সঙ্গীর তেমন কোনো আগ্রহ নেই।
এমনকি, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর ক্ষেত্রেও তাদের পছন্দ ভিন্ন। ছেলেটি যেখানে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়া বা নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করে, সেখানে তার সঙ্গী ঘরে বসে টিভি দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতিতে কয়েকটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। প্রথমত, সঙ্গীর মানসিক অবস্থা বিবেচনা করা জরুরি। সম্ভবত, তিনি কোনো মানসিক অবসাদে ভুগছেন, অথবা অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্ত।
সেক্ষেত্রে, তার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে, সঙ্গীর অভিজ্ঞতা এবং পছন্দের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো তিনি নতুন কিছু চেষ্টা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না, অথবা এর আগে সেভাবে অভ্যস্ত হননি।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, সম্পর্কের এই ধরনের সমস্যাগুলো সমাধানে আলোচনা এবং বোঝাপড়া খুবই জরুরি। সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলাভাবে কথা বলতে হবে এবং তার ভালো লাগা, খারাপ লাগাগুলো বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
কোনো বিষয়ে মতের অমিল হলে, আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানো যেতে পারে। একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং একসঙ্গে সময় কাটানো সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করতে সাহায্য করে।
যদি সমস্যা গুরুতর হয়, তবে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
সবশেষে, মনে রাখতে হবে, প্রতিটি সম্পর্কই আলাদা এবং প্রতিটি মানুষের ভালো লাগা, পছন্দের ধরনও ভিন্ন। তাই, সঙ্গীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হলে, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, আলোচনা করা এবং ধৈর্য ধারণ করা খুবই জরুরি।
তথ্য সূত্র: The Guardian