শিরোনাম: অবনমনের শিকার দলগুলো: গ্রীষ্মে কোন তারকারা মাতাবেন নতুন ক্লাব?
ফুটবল বিশ্বে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (Premier League) অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই লিগের খেলা প্রতি সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ দর্শক উপভোগ করেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া মৌসুমে কিছু ঐতিহ্যবাহী ক্লাব তাদের জায়গা ধরে রাখতে পারেনি, যাদের মধ্যে রয়েছে লেস্টার সিটি, সাউদাম্পটন এবং সম্ভবত ইপ্সউইচ টাউন। অবনমন (Relegation) হওয়ায় এই ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন জল্পনা চলছে।
গ্রীষ্মের দলবদলের বাজারে (Summer Transfer Window) শীর্ষ ক্লাবগুলো তাদের দলে এইসব প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
গোলরক্ষক:
সাউদাম্পটনের গোলরক্ষক অ্যারন রামসডেলের (Aaron Ramsdale) কথা ধরুন। তিনি ইতিমধ্যেই তিনটি ভিন্ন ক্লাবের সাথে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়েছেন। তবে, তিনি প্রমাণ করেছেন যে একজন নির্ভরযোগ্য গোলরক্ষক হিসেবে তার যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে।
এই মৌসুমে তিনি লিগে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০৬টি সেভ করেছেন। শোনা যাচ্ছে, লিডসের মতো ক্লাবগুলো তাদের গোলরক্ষক পরিবর্তন করতে চাইছে এবং রামসডেল তাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। লেস্টার সিটির হয়ে খেলা ম্যাডস হারমানসেনও (Mads Hermansen) ভালো পারফর্ম করেছেন, যিনি ৯৮টি সেভ করে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
ডিফেন্ডার:
সাউদাম্পটনের কাইল ওয়াকার-পিটার্স (Kyle Walker-Peters) একজন নির্ভরযোগ্য ফুল-ব্যাক। তার খেলার ধরন এবং ৯০.৫% পাসের সাফল্যের হার অনেক ক্লাবের নজর কেড়েছে।
তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষ এবং টটেনহ্যাম, ওয়েস্ট হাম, উলভারহ্যাম্পটন এবং ফুলহামের মতো দলগুলো তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী হতে পারে। ইপ্সউইচের ডিফেন্ডার লিফ ডেভিস (Leif Davis)-এর আক্রমণাত্মক খেলার দক্ষতাও প্রশংসিত হয়েছে।
মিডফিল্ডার:
সাউদাম্পটনের তরুণ মিডফিল্ডার মাটেউস ফার্নান্দেজ (Mateus Fernandes), যিনি সম্প্রতি স্পোর্টিং থেকে এসেছিলেন, প্রিমিয়ার লিগের কঠিন পরিস্থিতিতেও ভালো খেলেছেন। তিনি ট্যাকল, ড্রিবলিং এবং গুরুত্বপূর্ণ পাসে বেশ পারদর্শী।
লেস্টার সিটির উইলফ্রেড এনডিডি (Wilfred Ndidi), যিনি ২০১৭ সালে ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন, ইনজুরির কারণে মাঝে মাঝে দলের বাইরে ছিলেন। তবে তিনি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ দক্ষ।
মরোক্কোর তরুণ খেলোয়াড় বিলাল এল খানুস (Bilal El Khannouss), যিনি লেস্টারের হয়ে খেলেছেন, তার খেলার মান বেশ নজরকাড়া। আর্সেনালের মতো দল তার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
ফরোয়ার্ড:
সাউদাম্পটনের ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার টাইলার ডিবলিং (Tyler Dibling) এর ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা চলছে। তার মূল্য অনেক বেশি ধরা হলেও, বেশ কয়েকটি ক্লাব তাকে দলে নিতে চাইছে।
লেস্টারের উইঙ্গার আব্দুল ফাতাও (Abdul Fatawu) ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকলেও, তার ড্রিবলিং করার দক্ষতা অনেকের নজর কেড়েছে। ইপ্সউইচের স্ট্রাইকার লিয়াম ডেলাপ (Liam Delap) এর খেলাও প্রশংসিত হয়েছে এবং তার রিলিজ ক্লজ ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড হওয়ায় শীর্ষ ক্লাবগুলো তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী।
দলবদলের বাজারে খেলোয়াড়দের স্থান পরিবর্তন একটি সাধারণ ঘটনা। অবনমিত দলগুলোর খেলোয়াড়দের জন্য এটি নতুন করে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ।
গ্রীষ্মের দলবদলের সময় কোন খেলোয়াড় কোন ক্লাবে যোগ দেন, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান