প্লাস-সাইজ মডেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রেমি ব্যাডার সম্প্রতি তাঁর ওজন কমানোর অস্ত্রোপচার নিয়ে মুখ খুলেছেন। অস্ত্রোপচারের পর অনেকেই যখন বিষয়টিকে সহজ পথ হিসেবে দেখছেন, তখন তিনি তাঁর কঠোর পরিশ্রমের কথা তুলে ধরেছেন।
রেমি তাঁর এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আসা সমালোচনার জবাব দিয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে রেমি’র বেরিয়াট্রিক সার্জারি হয়। অস্ত্রোপচারের আগে, অস্ত্রোপচারের তিন মাস পর এবং অস্ত্রোপচারের এক বছর তিন মাস পরের ব্যায়ামের কিছু ভিডিও ক্লিপ জুড়ে তিনি একটি ভিডিও তৈরি করেন।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, তিনি আগের মতোই নিয়মিত শরীরচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে রেমি বলেন, অস্ত্রোপচার যে সহজ কোনো বিষয় নয়, তা তিনি প্রমাণ করতে চান। তিনি আরও বলেন, “আমি এখানে আসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি এবং আমি নিজের জন্য গর্বিত।”
রেমি’র কথায়, ওজন কমানোর এই পথটি তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তিনি সবসময়ই তাঁর শরীরের গড়ন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।
তবে একসময় তিনি অনুভব করেন, তাঁর শারীরিক পরিবর্তনে তিনি খুশি নন। রেমি জানান, অস্ত্রোপচারের পর কঠিন একটি সময় পার করতে হয়েছে তাঁকে। এই সময়ে তিনি মানসিক অবসাদেও ভুগেছিলেন।
নতুন শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাঁর বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অস্ত্রোপচারের এক বছর পরও তিনি এখনো নিজেকে খুঁজে ফিরছেন।
রেমি আরও বলেন, “আমি যখন প্লাস-সাইজ কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তখনও অনেকে আমাকে যথেষ্ট বড় মনে করতেন না। আবার, কিছু ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।
এখন হয়তো অনেকে বলছেন, আমি আগের চেয়ে অনেক ছোট হয়ে গেছি। আসলে, কোথায় আমার জায়গা, তা আমি নিজেই জানি না।”
নিজের অনুসারীদের প্রতি স্বচ্ছ থাকার অঙ্গীকার করে রেমি ব্যাডার জানিয়েছেন, তিনি সবসময় তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে তাঁর ভালো-মন্দ সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।
তাঁর এই পরিবর্তনে তিনি কতটা স্বাচ্ছন্দ্য, সে বিষয়েও খোলামেলা আলোচনা চালিয়ে যাবেন।
তথ্য সূত্র: পিপল