রেনি র্যাপ: মায়ের দূরদর্শীতা, পপ তারকা হওয়ার বীজ বোনা হয়েছিল জন্মের আগেই। মার্কিন পপ তারকা রেনি র্যাপের মা, ডেনিস র্যাপ, তাঁর মেয়ের শিল্পী জীবনের ভবিষ্যৎ যেন আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন।
সম্প্রতি অ্যামি পোহলারের ‘গুড হ্যাং’ নামের একটি পডকাস্টে রেনি নিজেই জানিয়েছেন তাঁর নামের পেছনের এই গল্প।
পঁচিশ বছর বয়সী রেনি জানান, তাঁর মা চেয়েছিলে তাঁর প্রথম এবং শেষ নামের মধ্যে মিল থাকুক, যাতে নামের মধ্যে ‘অলিলিরেশন’ থাকে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমার জন্মের আগেই মা ঠিক করে রেখেছিলেন, আমি পপ তারকা হতে পারি।” যদিও রেনি র্যাপ এই বিষয়টিকে বেশ ‘অহংকারী’ মনে করেন, তবে মায়ের এই দূরদৃষ্টির প্রশংসা না করে পারেন না তিনি।
“আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই,” যোগ করেন রেনি।
রেনির শিল্পী হওয়ার পেছনে তাঁর বাবা-মায়েরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
বিশেষ করে তাঁর বাবা চার্লস র্যাপ, যিনি সঙ্গীতের প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন।
রেনির কণ্ঠের সামান্য ত্রুটিও তিনি ধরতেন এবং কিভাবে আরও ভালো করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দিতেন।
রেনি একবার বলেছিলেন, ছোটবেলায় সবসময় তাঁর চারপাশে গান বাজত।
গান শোনা তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।
২০২৩ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চার্লস র্যাপ জানান, তাঁরা সবসময় রেনিকে ভালো পারফর্ম করার জন্য উৎসাহিত করতেন।
রেনির বাবা বলেন, “আমিও খুব প্রতিযোগিতামূলক ছিলাম, ডেনিসও তাই।
আমরা রেনিকে বলতাম, পারফর্মেন্স ভালো হলেও, কোথায় আরও উন্নতি করা যায়। কিভাবে আরও ভালো করা যেত।”
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি রেনির আগ্রহ ছিল।
ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল ‘মিন গার্লস’-এ রেজিনা জর্জের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি পরিচিতি পান।
এরপর তিনি সিনেমাতেও এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এছাড়া, এইচবিও-ম্যাক্স-এর ‘দ্য সেক্স লাইভস অফ কলেজ গার্লস’-এও অভিনয় করেছেন রেনি।
২০২২ সালের শেষের দিকে ‘এভরিথিং টু এভরিওয়ান’ নামের একটি ইপি (EP – extended play) প্রকাশ করেন রেনি।
২০২৩ সালে তাঁর প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘স্নো অ্যাঞ্জেল’ মুক্তি পায়।
তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘বাইট মি’ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ১লা আগস্ট।
মে মাসের ২৬ তারিখে, ২০২৩ সালের আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে (এএমএ) ‘লিভ মি অ্যালোন’ গানটি লাইভ পরিবেশন করেন রেনি।
তথ্য সূত্র: পিপল