ট্রাম্পের বিল: রবিবারেই কমিটির জরুরি বৈঠক, কী ঘটতে চলেছে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের একটি বিশাল ট্যাক্স কাট এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বিল পাশ করানো নিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে হওয়া কর হ্রাসের মেয়াদ বাড়ানো এবং নতুন কিছু কর ছাড়ের প্রস্তাবসহ বিতর্কিত এই বিলটি হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস করানোর চেষ্টা চলছে, কিন্তু দলের অভ্যন্তরেই বিরোধিতার কারণে তা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

খবর অনুযায়ী, বিলটি নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে, যা বিলটি পাসের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিগত নির্বাচনে জনগণের দেওয়া ম্যান্ডেট অনুযায়ী এই বিলটি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে স্পিকার মাইক জনসন দ্রুত এটি হাউজে উত্থাপন করতে চাইছেন।

কিন্তু দলের কট্টরপন্থী সদস্য এবং ডেমোক্র্যাটদের আপত্তির কারণে বিলটি এখনো পর্যন্ত বাজেট কমিটি থেকে অনুমোদন পায়নি। এমনকি বিলের কারণে ফেডারেল বাজেট ঘাটতি বাড়বে এমন উদ্বেগের কথাও শোনা যাচ্ছে।

রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও টেক্সাসের প্রতিনিধি, চিপ রয় বিলটির বিরোধিতা করে বলেছেন, এতে এমন সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে যা পূরণ করা সম্ভব নয় এবং এর ফলস্বরূপ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে চরম মূল্য দিতে হবে।

বিলটিতে একদিকে যেমন কর ছাড়ের প্রস্তাব রয়েছে, তেমনই সীমান্ত নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে, বিরোধীরা বলছেন, এই বিলের মাধ্যমে সরকারের ঋণ আরও প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে।

ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তাদের মতে, এটি সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেবে।

বিলটি নিয়ে আলোচনার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, রাজ্য ও স্থানীয় করের (State and Local Tax – SALT) ওপর ট্যাক্স ছাড়ের সীমা বাড়ানো।

বর্তমানে এই সীমা ১০ হাজার ডলার, যা প্রস্তাবিত বিলে ৩০ হাজার ডলারে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে। নিউইয়র্কের আইনপ্রণেতারা এই সীমা আরও বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন।

বিলটি যদি কোনোমতে হাউসে পাস হয়ে যায়, তাহলে এটি সিনেটে যাবে। সেখানেও এর পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা হয়তো বিলটির চূড়ান্ত অনুমোদন আরও কঠিন করে তুলবে।

সব মিলিয়ে, রিপাবলিকানদের জন্য এই বিলটি পাস করানো বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *