বাল্টিমোরের প্রাক্তন পুলিশ প্রধানকে শিশুকামীতার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তার স্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকা একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে।
আদালতের রায়ে জানা যায়, জেমস স্ট্যানলি উইমস জুনিয়র নামের ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন।
আদালতের নথি অনুযায়ী, উইমসের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে শিশুদের যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ এবং শিশুদের সামনে অশ্লীল ছবি দেখানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ এপ্রিল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশুদের মধ্যে একজন ছিল ১০ বছর বয়সী।
অভিযোগ ওঠে, উইমসের স্ত্রী শানটারি উইমসের মালিকানাধীন ‘লিল কিডজ ক্যাসেল ডে-কেয়ার সেন্টার’-এ তিনি শিশুদের ওপর এই নিপীড়ন চালাতেন। ঘটনার পরে শানটারি তার স্বামীকে গুলি করেন।
পরে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। শানটারিকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং দুই বছরের তত্ত্বাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায় উইমস ২০০৫ সালে বাল্টিমোর পুলিশ বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি দুই বছর ওই ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুদের আনা-নেওয়ার জন্য একটি বাসের চালক হিসেবে কাজ করতেন।
২০২২ সালের জুলাই মাসে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, নির্যাতনের শিকার হওয়া এক শিশু উইমসের ফোনে অশ্লীল ছবি দেখে বিষয়টি প্রকাশ করে।
এরপরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে জানা যায়, উইমস শিশুদের অশ্লীল ছবি দেখাতেন এবং তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন। এমনকি, শিশুদের দেখানোর জন্য তিনি তার ফোন থেকে বিভিন্ন পর্ন সাইটে প্রবেশ করতেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, উইমস শিশুদের সাথে ভালো ব্যবহার করতেন এবং তাদের খাবার দিতেন। শিশুদের তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে কাউকে কিছু না বলতেও বলেছিলেন।
আদালতে নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা জানান, তার মেয়ের বয়স বাড়লেও মানসিক বিকাশ সেভাবে হয়নি। উইমস তার মেয়েকে “আমার বন্ধু” এবং “আমার সাহায্যকারী” বলে ডাকতেন।
আদালতে উইমস শিশুদের সাথে কোনো প্রকার খারাপ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, মেয়েটিকে তিনি “একটি ভালো মেয়ে” হিসেবেই চিনতেন।
আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে নির্যাতনের শিকার শিশুটি জানায়, “আমি চাই না মি. জেমস আমার সাথে এমন কিছু করুক। আমি চাই, আমি আগের মতোই স্বাভাবিক জীবন যাপন করি।
বর্তমানে উইমসের বিরুদ্ধে আরও অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে, যা অন্যান্য শিশুদের সাথে হওয়া নির্যাতনের সম্পর্কিত।
তথ্য সূত্র: পিপল