যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সুপারিশমালায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র (RFK Jr.) সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) সম্ভবত সুস্থ শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আর সুপারিশ করবে না।
মঙ্গলবার (যেদিন মূল সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল) তিনি সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ পোস্ট করা একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই তথ্য জানান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন কমিশনার ড. মার্তি মাকারি এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথের পরিচালক ড. জে ভট্টাচরিয়া।
এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে জানা যায়, শিশুদের মধ্যে বুস্টার ডোজের পুনরাবৃত্তিমূলক ব্যবহারের সমর্থনে পর্যাপ্ত ক্লিনিক্যাল ডেটা বা পরীক্ষালব্ধ উপাত্তের অভাব রয়েছে।
গর্ভবতী নারী এবং যাদের আগে থেকেই স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ তাঁদের গুরুতর অসুস্থ করে তোলার ঝুঁকি বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন নীতিতে এই পরিবর্তনের পাশাপাশি, খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (FDA)-ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অনুমোদন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনছে।
এই পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে বয়স্ক আমেরিকান এবং গুরুতর কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ভ্যাকসিনের অনুমোদন সীমিত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাতে CDC এবং FDA-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
CDC রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে, অন্যদিকে FDA ঔষধ এবং ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
যদিও এই পরিবর্তনগুলো মূলত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য, তবে এটি বিশ্বব্যাপী টিকাদান নীতি নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংক্রান্ত নির্দেশিকা ও সুপারিশ তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তাই, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের উপর পড়বে না।
তবে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগও বিভিন্ন দেশের নীতি পর্যালোচনা করে থাকে এবং প্রয়োজনে নিজেদের নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে পারে।
বর্তমানে, এই খবরটি একটি চলমান ঘটনা এবং ভবিষ্যতে এতে আরও নতুন তথ্য যুক্ত হতে পারে।
তথ্য সূত্র: CNN