চেলসি’র হোম হতে পারে রাগবি মাঠ? বোমা ফাটালেন প্রধান!

খেলাধুলার জগৎ থেকে: চেলসি’র খেলার মাঠ হতে পারে ইংল্যান্ডের রাগবি স্টেডিয়াম!

লন্ডন, [তারিখ], ২০২৩ – ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি’র খেলার মাঠের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে রাগবি ফুটবল ইউনিয়ন (RFU)। তাদের প্রধান নির্বাহী বিল সুইনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তারা তাদের বিখ্যাত টোয়িকেনহাম স্টেডিয়ামে চেলসি’র ম্যাচ আয়োজনে প্রস্তুত।

তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়াটা বেশ কঠিন হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

বিষয়টি হলো, চেলসি’র নিজস্ব মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা করছে অথবা অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হতে চাইছে। এই অবস্থায় RFU-এর এই প্রস্তাব তাদের জন্য একটি বিকল্প হতে পারে।

আর্থিক দিক থেকে দেখলে, RFU-এর জন্য বিষয়টি লাভজনক হতে পারে। কারণ সম্প্রতি তারা জানিয়েছে যে, তাদের হিসাবে ঘাটতি রয়েছে। টোয়িকেনহাম স্টেডিয়ামে চেলসি’র খেলা হলে তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে।

তবে এখানে একটি বড় বাধা হলো স্থানীয় রিচমন্ড কাউন্সিলের অনুমোদন। সুইনি জানিয়েছেন, স্থানীয় কাউন্সিল এলাকার বাসিন্দাদের উপর এর প্রভাব নিয়ে বেশ চিন্তিত। খেলা হলে অনেক দর্শক সমাগম হবে, যা স্থানীয় পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

তাই, কাউন্সিলের অনুমতি পাওয়াটা নির্ভর করছে ক্লাবের উপরও।

RFU বর্তমানে টোয়িকেনহাম স্টেডিয়ামের প্রায় ৬৬০ মিলিয়ন পাউন্ডের সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। তারা এখানে আরও বেশি অ-রাগবি ইভেন্ট আয়োজন করতে চায়, যেমন কনসার্ট। কিন্তু রিচমন্ড কাউন্সিল যদি অনুমতি না দেয়, তাহলে তাদের অন্য কোনো স্থানে চলে যাওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করতে হতে পারে।

নিয়ম অনুযায়ী, RFU বছরে তিনটি কনসার্ট আয়োজন করতে পারে, যার মধ্যে দুটি পরপর রাতে হতে পারে এবং দর্শক সংখ্যা ৫৫,০০০-এর বেশি হবে না। RFU চাইছে বছরে ১৫টি ইভেন্ট করতে এবং সেগুলোর জন্য তারা ৭৫,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন করার অনুমতি চাইছে।

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মকালীন রাগবি ট্যুর সম্প্রচারিত হবে স্কাই স্পোর্টসে। গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে হারের পর, ইংল্যান্ডের জয় অনলাইনে সরাসরি দেখানো হয়েছিল।

বর্তমানে, স্টিভ বোরথউইকের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড দল তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দলের কোচিং স্টাফে যোগ দিয়েছেন লি ব্ল্যাকেট এবং বাইরন ম্যাকগুইগান।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *