পানামার সাবেক প্রেসিডেন্ট রিকার্ডো মার্টিনেল্লি, যিনি অর্থ পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, অবশেষে কলম্বিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি পানামার নিকারাগুয়ান দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
শনিবার পানামার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো মার্টিনেল্লিকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং পানামা সরকার তাকে কলম্বিয়ায় যাওয়ার জন্য নিরাপদ পথ তৈরি করে দিয়েছে।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে মার্টিনেল্লিকে একটি প্রকাশনা সংস্থা কেনার সঙ্গে জড়িত অর্থ পাচারের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের পরই তিনি নিকারাগুয়ার দূতাবাসে আশ্রয় নেন।
এর আগে, নিকারাগুয়ার সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়। মার্টিনেল্লি ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পানামার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
তার শাসনামলে মধ্য আমেরিকার প্রথম মেট্রো প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়, যা দেশটির অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে তার সরকারের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অতিরিক্ত ব্যয়ের অভিযোগ ছিল।
এমনকি, দুর্নীতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
মার্টিনেল্লি বরাবরই দাবি করে আসছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আদালতের রায়ের কারণে তা সম্ভব হয়নি। রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে তিনি তার দলের সমর্থনও হারিয়েছেন।
নিকারাগুয়া সরকার গত ফেব্রুয়ারিতে মার্টিনেল্লিকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিলেও পানামা সরকার তাকে নিকারাগুয়ায় পাঠাতে রাজি ছিল না।
কলম্বিয়া সরকার আগে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বর্তমানে মার্টিনেল্লি কলম্বিয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন