রিচার্ড বার্টন: এক কিংবদন্তীর জন্মকথা, পর্দায় আসছে নতুন চলচ্চিত্র ‘মি. বার্টন’।
বিশ্বখ্যাত অভিনেতা রিচার্ড বার্টনের জীবনের অজানা অধ্যায় এবার উন্মোচিত হতে চলেছে রুপালি পর্দায়। ‘মি. বার্টন’ নামক এই চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলা হবে বার্টনের জীবনের প্রারম্ভিক দিনগুলো, যখন তিনি ছিলেন রিচার্ড জেনকিন্স।
আর এই চরিত্রে অভিনয় করছেন তরুণ অভিনেতা হ্যারি লরটি। ছবিটিতে বার্টনের শিক্ষক ফিলিপ বার্টন চরিত্রে দেখা যাবে খ্যাতিমান অভিনেতা টবি জোনসকে।
বার্টনের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণ হলো, তাঁর শিক্ষক ফিলিপ বার্টনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক। ফিলিপ বার্টনই ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি তরুণ জেনকিন্সের অভিনয় প্রতিভাকে উৎসাহিত করেছিলেন এবং সঠিক পথে চালিত করেছিলেন।
পরবর্তীতে জেনকিন্স, বার্টনের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন এবং তাঁর পদবিও গ্রহণ করেন।
ছবিতে অভিনয়ের জন্য হ্যারি লরটি এবং টবি জোনস দুজনেই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। চরিত্রগুলোতে নিজেদের মানানসই করতে তাঁরা কণ্ঠ প্রশিক্ষকের সাহায্য নিয়েছেন এবং রিচার্ড বার্টন ও ফিলিপ বার্টন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন।
লরটি জানান, তিনি বার্টনের কণ্ঠের বিশেষত্ব ফুটিয়ে তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। অন্যদিকে, টবি জোনস এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁর শারীরিক ভাষা এবং বাচনভঙ্গির উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
ওয়েলসের সংস্কৃতিতে রিচার্ড বার্টনের অবদান অনেক। এই ছবিতে তাঁর ওয়েলসীয় পরিচয় এবং বেড়ে ওঠার বিষয়টিও তুলে ধরা হবে।
পরিচালক মার্ক ইভান্স জানিয়েছেন, বার্টনের অভিনয়শৈলী এতটাই স্বতন্ত্র ছিল যে, তা পর্দায় ফুটিয়ে তোলা কঠিন।
ছবিতে রিচার্ড বার্টনের কন্যা কেট বার্টন-ও উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর বাবার জীবনের এই দিকটি নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি দেখে খুবই আনন্দিত হয়েছেন।
তাঁর মতে, এই চলচ্চিত্র তাঁর বাবার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে।
আগামী ৪ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘মি. বার্টন’। যারা অভিনেতা রিচার্ড বার্টনের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আরও জানতে চান, তাঁদের জন্য এই সিনেমাটি একটি দারুণ সুযোগ।
এছাড়াও, এই সিনেমার গল্প তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা স্বপ্ন দেখে নিজেদের প্রতিভার বিকাশের এবং সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।