হারানো ছেলের শোক ভুলে রিকি স্মাইলির জীবনে নতুন আনন্দ, যমজ কন্যার গল্প!

মার্কিন কমেডিয়ান ও রেডিও ব্যক্তিত্ব রিকি স্মাইলির জীবনে ঘটে যাওয়া এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার কথা সম্প্রতি জানা গেছে। ২০১৯ সালে জন্ম নেওয়া যমজ কন্যা, অ্যালিসন এবং অ্যালিসসা-কে তিনি পিতৃত্বের স্বীকৃতি দেন ২০২৪ সালে।

অপ্রত্যাশিত এই আবিষ্কারের কয়েক বছর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, রিকি তার বড় ছেলে ব্র্যান্ডনকে হারান। পুত্রের অকাল মৃত্যুতে শোকের গভীরতা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার পথে এই দুই কন্যার উপস্থিতি যেন নতুন আলো নিয়ে আসে তার জীবনে।

রিকি স্মাইলি একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, যিনি তার কৌতুক এবং রেডিও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার জীবনে নেমে আসা এই শোকের ছায়া কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে তার দুই যমজ কন্যা।

ব্র্যান্ডনের মৃত্যুর পর, রিকি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “কষ্টগুলো মাঝে মাঝে অসহ্য হয়ে উঠত।” কিন্তু এই দুই মেয়ের সান্নিধ্য তাকে শোকের গভীরতা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করেছে।

তিনি তাদের “জীবন রক্ষাকারী” হিসেবে অভিহিত করেছেন।

জানা যায়, অ্যালিসন ও অ্যালিসসার জন্মের সময় রিকি তাদের সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। যখন তাদের বয়স প্রায় পাঁচ বছর, তখনই তিনি জানতে পারেন যে তিনিই তাদের বাবা।

বিষয়টি ছিল অপ্রত্যাশিত এবং একইসঙ্গে আনন্দদায়ক।

রিকি স্মাইলি তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “আমি যখন তাদের খেলতে দেখতাম, আমার ভেতরের কষ্টগুলো যেন ধীরে ধীরে হালকা হয়ে আসত।

তাদের সারল্য আমাকে চোখের জল ফেলতে বাধ্য করত, আর আমি যেন এক বিশাল বোঝা থেকে মুক্তি পেতাম।”

তাদের মা-কে রিকি ভালোভাবেই চিনতেন এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাদের জন্মের পর থেকেই, রিকি, অ্যালিসন ও অ্যালিসসাকে দেখেছেন।

এমনকি তাদের নাতি গ্রেসনের সঙ্গেও তাদের খেলাধুলার সম্পর্ক ছিল। যদিও তিনি আগে কখনো ভাবেননি যে তারা তার সন্তান।

বর্তমানে রিকি তার অন্যান্য সন্তানদের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছেন এবং তারা সবাই এই নতুন সম্পর্কের কথা জেনে আনন্দিত।

রিকি এখন তাদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি তাদের জন্মদিন পালন করেন এবং তাদের প্রতিটা ভালো কাজে উৎসাহ দেন।

অ্যালিসন ও অ্যালিসসার আগমনে রিকির জীবনে নতুন করে আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে।

তিনি তাদের সঙ্গে সময় কাটান, তাদের দেখাশোনা করেন এবং তাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তাদের প্রতি রিকির এই ভালোবাসা, শোক কাটিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *