“দ্য রাইশাস জেমস্টোনস” – একটি জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন ধারাবাহিক, যা ধর্মীয় নেতাদের জীবনযাত্রা এবং তাদের ফ্যাশন শৈলী নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক চিত্র ফুটিয়ে তোলে। এইচবিও-র এই সিরিজে, চার্চের প্রভাবশালী পরিবারের পোশাক-পরিচ্ছদের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা, ব্যক্তিত্ব এবং সমাজের চোখে তাদের স্থান তুলে ধরা হয়েছে।
পোশাক পরিকল্পনাকারী ক্রিস্টিনা ফ্লানারি এই পোশাকগুলোর ডিজাইন করেছেন, যা তৈরি করতে তিনি বিভিন্ন উৎস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন। ফ্লানারির পোশাক পরিকল্পনার প্রধান আকর্ষণ ছিল ১৯৮০ দশকের প্রভাবশালী টেলিভিশন ধর্মপ্রচারক ট্যামি ফায়ে বাকারের পোশাক।
সেই সময়ে বাকারের উজ্জ্বল মেকআপ এবং আকর্ষণীয় পোশাক নারীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। শুধু তাই নয়, ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার থিয়েরি মুগলারের ডিজাইন করা পোশাকও এই সিরিজের পোশাকের ওপর প্রভাব ফেলেছে। মুগলারের ডিজাইন করা পোশাকের বিশেষত্ব ছিল এর নাট্যধর্মিতা।
এর বাইরে, এই সিরিজের চরিত্রদের পোশাকের অনুপ্রেরণা হিসেবে এসেছে ড্র্যাগ পারফর্মার এবং শিল্পী, যেমন – লি বাউরি। “দ্য রাইশাস জেমস্টোনস”-এর প্রধান চরিত্রদের মধ্যে অন্যতম হলেন জেসি, কেলভিন এবং জুডি।
তাদের পোশাক নির্বাচন তাদের ক্ষমতা এবং চার্চের মধ্যে তাদের অবস্থানকে নির্দেশ করে। জেসির চরিত্রে ড্যানি ম্যাকব্রাইড, কেলভিনের চরিত্রে অ্যাডাম ডিভাইন এবং জুডির চরিত্রে এডি প্যাটারসন অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রগুলোর পোশাক তাদের চার্চের প্রতিপত্তি এবং তাদের ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ।
এই সিরিজের পোশাকগুলো একদিকে যেমন তাদের ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার প্রতীক, তেমনই আবার তাদের চারিত্রিক দুর্বলতাগুলোকেও তুলে ধরে। ফ্লানারি জানিয়েছেন, পোশাকের মাধ্যমে তিনি চরিত্রগুলোর ভেতরের জগৎ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, অ্যাম্বার (জেসির স্ত্রী)-এর পোশাক সাধারণত রক্ষণশীল ধারার, যা সমাজের চোখে তার ক্ষমতা এবং সম্মানের প্রতীক। অন্যদিকে, জুডির পোশাক ১৯৮০ দশকের ফ্যাশন দ্বারা প্রভাবিত, যা তার চরিত্রের একটি বিশেষ দিক প্রকাশ করে।
পোশাকের এই ভিন্নতা “দ্য রাইশাস জেমস্টোনস”-কে একটি আকর্ষণীয় এবং গভীরতাসম্পন্ন সিরিজ করে তুলেছে। এই সিরিজের মাধ্যমে পোশাক শুধু একটি বাহ্যিক বিষয় নয়, বরং তা চরিত্রের অভ্যন্তরীণ ভাবনা এবং সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসেবেও দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন