মায়ের স্মৃতি: লিসা মারিকে স্মরণ করে রিলে কিয়োফের হৃদয়স্পর্শী পোস্ট!

মা ও সন্তানের সম্পর্ক সময়ের সীমানা পেরিয়ে যায়। সম্প্রতি, অভিনেত্রী রাইলি কিয়ো তাঁর প্রয়াত মা, লিসা মেরি প্রেসলিকে উৎসর্গ করে একটি আবেগপূর্ণ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন, যা আমাদের পারিবারিক ভালোবাসার স্থায়ীত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

মা দিবসের এই বিশেষ দিনে, কিয়ো তাঁর সামাজিক মাধ্যমে একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাইলি তাঁর ‘এঞ্জেল মা’ লিসা মারি এবং তাঁর বোন, ১৬ বছর বয়সী যমজ কন্যা, ফিনলে এবং হারপার লকউডের সঙ্গে হাসিমুখে বসে আছেন।

ছবিতে রাইলি তাঁর মায়ের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ করে লিখেছেন, “আজকের দিনে সকল মায়ের কথা মনে পড়ছে। আমাদের এঞ্জেল মা-কে ভালোবাসা।”

লিসা মারি প্রেসলি ছিলেন কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী এলভিস প্রেসলির কন্যা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন সঙ্গীত শিল্পী এবং অভিনেত্রীও।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৫৪ বছর বয়সে তাঁর প্রয়াণ হয়। লিসা মারি চার সন্তানের জননী ছিলেন: রাইলি কিয়ো, যিনি তাঁর প্রথম সন্তান, বেনজামিন কিয়ো, যিনি ২০২০ সালে আত্মহত্যা করেন এবং যমজ কন্যা ফিনলে ও হারপার।

রাইলির এই শ্রদ্ধাঞ্জলি তাঁর মায়ের প্রতি ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এর আগে, লিসা মারির প্রয়াণের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে, রাইলি তাঁর মায়ের সঙ্গে একটি ভিডিও কলের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন, যা তাঁদের গভীর সম্পর্কের প্রমাণ দেয়।

ছবিতে রাইলিকে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছিল, আর তাঁর মাও হাসি দিয়ে conversation-এ অংশ নিচ্ছিলেন। এই ছবিটির ক্যাপশনে তিনি হৃদয়ের চিহ্ন ব্যবহার করেছিলেন, যা তাঁর মায়ের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ করে।

বর্তমানে, রাইলি নিজেও একজন মা। তাঁর ২ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, যার নাম Tupelo।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে লিসা মারির স্মরণসভায় তিনি তাঁর মেয়ের কথা জানিয়েছিলেন। রাইলি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মায়ের ‘সাউদার্ন’ ঘরানার লালন-পালন পদ্ধতি অনুসরণ করেন।

এই পদ্ধতিতে ভালোবাসা, স্পর্শ এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

মাতৃদিবসে মায়ের প্রতি সন্তানদের এই ধরনের শ্রদ্ধা জানানো একটি স্বাভাবিক ঘটনা। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতেও মায়ের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার একটি বিশেষ স্থান রয়েছে, যা প্রতিটি সন্তানের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *