গত বছর অনুষ্ঠিত হওয়া মাইক টাইসন বনাম জ্যাক পল বক্সিং ম্যাচে ‘রিং গার্ল’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সিডনি থমাস এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামা থেকে নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেছেন।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবি পোস্ট করে তিনি এই আনন্দের খবরটি অনুসারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
বক্সিং ম্যাচ চলাকালীন সময়ে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পরে এবং তিনি রাতারাতি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। অনেকে হয়তো জানেন না, ‘রিং গার্ল’ মূলত বক্সিংয়ের একটি অংশ, যেখানে খেলা শুরুর আগে ও মাঝে আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য মডেলদের উপস্থাপন করা হয়।
সিডনি থমাসও ছিলেন তেমনই একজন।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে সিডনি তার কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, কিভাবে তিনি তার মায়ের মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠেছেন এবং একইসাথে অপ্রত্যাশিত খ্যাতি লাভ করেছেন।
আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় তাকে আপন করে নিয়েছে এবং কঠিন সময়েও তিনি তার সত্তা টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলো তার জীবনের একটি সুন্দর অধ্যায় ছিল।
সময়ের সাথে সাথে তিনি এই অভিজ্ঞতাগুলো খুব মিস করবেন।
স্নাতক হওয়ার পর উচ্ছ্বসিত সিডনি তার বন্ধুদের সাথে শ্যাম্পেন পান করার ছবিও পোস্ট করেছেন।
এছাড়াও, তিনি তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে ‘রোল টাইড’ (Roll Tide) শব্দটি ব্যবহার করেন, যা আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া দলের একটি পরিচিত শ্লোগান।
সিডনির এই সাফল্যের খবর অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বিশেষ করে, যারা জীবনের নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত।
নিজের পড়াশোনার ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে কিভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, সিডনি যেন তারই প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও, এমন অনেক তরুণ-তরুণী আছেন যারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পড়াশোনা চালিয়ে যান।
সিডনির এই অর্জন তাদের জন্য একটি উৎসাহ হিসেবে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, সিডনি থমাস এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বক্সিং ম্যাচের পর তিনি অসংখ্য বার্তা পেয়েছিলেন, যা তার কাছে “অবিস্মরণীয়” ছিল।
তিনি এখনো পর্যন্ত তার এই জনপ্রিয়তা পুরোপুরিভাবে অনুভব করতে পারেননি।
তথ্য সূত্র: পিপল