বিখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোর কন্যা, আইরিন ডি নিরো, সম্প্রতি নিজেকে রূপান্তরিত নারী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তার এই নতুন পরিচয়ের কথা জানান এবং কীভাবে তিনি সবার অলক্ষ্যে বড় হয়েছেন, সেই বিষয়ে মুখ খোলেন।
আইরিন ডি নিরো, যিনি অভিনেত্রী টুকি স্মিথের সঙ্গে রবার্ট ডি নিরোর যমজ সন্তান, *দেম* ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। ২৯ বছর বয়সী আইরিন বলেন, “আলোচনার মধ্যে থাকা এক জিনিস, আর দেখা যাওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি দৃশ্যমান হয়েছি, কিন্তু মনে হয় এখনো পর্যন্ত আমাকে ভালোভাবে দেখা হয়নি।”
নিজের বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আইরিন জানান, কীভাবে তিনি সবসময় সমাজের কিছু নিয়ম-কানুন দ্বারা সমালোচিত হয়েছেন। “ছোটবেলায় আমাকে সবসময় বলা হতো আমি হয় অতিরিক্ত কিছু, না হয় যথেষ্ট নই: হয়তো খুব বেশি বড়, অথবা যথেষ্ট রোগা নই। কখনো মনে হতো, আমি যথেষ্ট কালো নই, আবার কখনো মনে হতো আমি যথেষ্ট ফর্সা নই। কখনো মনে হতো, আমি অতিরিক্ত নারীসুলভ, আবার কখনো মনে হতো যথেষ্ট পুরুষালি নই।
বাবা রবার্ট ডি নিরো এবং মা টুকি স্মিথ, দুজনেই সবসময় চেয়েছেন আইরিন যেন সাধারণ একটি জীবন পান। আইরিন বলেন, “আমার বাবা-মা দুজনেই আমাকে লাইমলাইট থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন। তারা চেয়েছিলেন, আমার শৈশব যেন স্বাভাবিক হয়।”
নিজের এই নতুন পরিচয় প্রসঙ্গে আইরিন আরও বলেন, গত নভেম্বরে তিনি হরমোন থেরাপি শুরু করেছেন। তিনি চান, তার এই পদক্ষেপ অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হোক, বিশেষ করে যারা রূপান্তরকামী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং শারীরিক গড়ন নিয়ে সমাজের প্রচলিত ধারণার বাইরে। তিনি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী। আইরিনের মতে, “বর্ণ ও লিঙ্গবৈচিত্র্যের মানুষদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা ও সমর্থন প্রয়োজন।”
রবার্ট ডি নিরোর সাত সন্তানের মধ্যে আইরিন অন্যতম। অভিনেতা ২০২৩ সালের এপ্রিলে তার বান্ধবী টিফানি চেনের সঙ্গে তাদের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান জিয়ার বাবা হন।
তথ্য সূত্র: পিপল