রডনি অ্যাটকিন্সের সন্তানদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কান্ট্রি সংগীত শিল্পী রডনি অ্যাটকিন্স, যিনি “অনেস্টি” ও “ওয়াচিং ইউ” এর মতো জনপ্রিয় গানের জন্য পরিচিত, তাঁর পরিবারকে নিয়ে বেশ গর্বিত। তাঁর জীবনে বাবা হিসেবে তিনি কতটা সুখী, সেই গল্পই তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।

তাঁর তিন সন্তান, এলিজা, রাইডার ও স্কাউটকে ঘিরে তাঁর জীবনের নানা দিক আলোচনা করা হয়েছে।

রডনি অ্যাটকিন্সের প্রথম সন্তান এলিজা, যিনি ২০০১ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহন করেন। এলিজা তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, ট্যামি জো অ্যাটকিন্সের সন্তান।

রডনির গানের জগতে এলিজার পদচারণা বেশ উল্লেখযোগ্য। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া “ওয়াচিং ইউ” গানের ভিডিওতে এলিজাকে দেখা যায়, যেখানে তিনি বাবার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেন।

এছাড়া, ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া “থ্যাঙ্ক গড ফর ইউ” গানেও এলিজা বাবার সঙ্গে কাজ করেছেন। সম্প্রতি, তাঁরা একসঙ্গে গানটি পরিবেশন করেছেন এবং স্টুডিওতে এর নতুন সংস্করণ তৈরির পরিকল্পনা করছেন।

এরপর রডনি বিয়ে করেন রোজ ফ্যালকনকে এবং তাঁদের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে জন্ম নেয় রাইডার ফ্যালকন অ্যাটকিন্স। ২০১৪ সালের ১৪ই ডিসেম্বর তাঁদের ঘর আলো করে আসে রাইডার।

মা-বাবার কাছে রাইডার ছিলেন এক ‘রামধনু’, কারণ এর আগে রোজের একটি গর্ভপাত হয়েছিল। মা-বাবার কাছে রাইডার নামটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, কারণ ‘ফ্যালকন’ ছিল রোজের মায়ের দিকের পদবি এবং ‘রাইডার’ নামটি রডনি তাঁর বাবার প্রতি সম্মান জানাতে রেখেছিলেন।

২০১৬ সালে, এক সাক্ষাৎকারে রডনি জানান, বাবা হওয়ার পর তাঁর শিল্পী জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। তিনি বলেন, এখন তিনি চান এমন গান করতে যা মানুষের জীবনকে স্পর্শ করবে।

রডনি এবং রোজ দম্পতির কনিষ্ঠ পুত্র, স্কাউট ফ্যালকন অ্যাটকিন্স, জন্ম নেয় ২০১৯ সালের ২৬শে আগস্ট। স্কাউটের জন্মের আগে দম্পতি বেশ কয়েক বছর ধরে মা হওয়ার চেষ্টা করছিলেন এবং অবশেষে সফল হন।

রডনি জানিয়েছেন, স্কাউটের জন্ম তাঁদের জীবনের অন্যতম আনন্দের দিন।

বাবা হিসেবে রডনির অনুভূতি সবসময়ই গভীর। তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে গর্ব করেন এবং প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন।

তাঁর মতে, বাবা হওয়া জীবনের সবচেয়ে সুন্দর এবং কঠিন অভিজ্ঞতা। তিনি মনে করেন, তাঁর সন্তানেরাই তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণা।

রডনি অ্যাটকিন্সের পরিবার, বিশেষ করে তাঁর সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা, তাঁর জীবন এবং কর্মের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। গানের মাধ্যমে তিনি তাঁর এই ভালোবাসাই প্রকাশ করেন, যা শ্রোতাদের হৃদয়ে গভীর স্থান করে নেয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *