ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস রিপাবলিকান দলের অভ্যন্তরে ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক আবারও তিক্ত হয়ে উঠেছে, এবং এর ফলস্বরূপ ডিস্যান্টিস বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরাগভাজন হচ্ছেন।
রিপাবলিকান পার্টির ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন তিনি।
সম্প্রতি, ফ্লোরিডার একজন প্রভাবশালী রিপাবলিকান নেতা জো গ্রুটার্সকে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে বসানোর বিরোধিতা করেন ডিস্যান্টিস। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প গ্রুটার্সকে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির (আরএনসি) চেয়ারম্যান পদে সমর্থন জানান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি ডিস্যান্টিসের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
ডিস্যান্টিস এর আগেও বিভিন্ন সময়ে দলের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন। এমনকি, তিনি যখন ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছিলেন, তখনও ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না।
এই কারণে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তার থেকে দূরে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহার করার পর, ডিস্যান্টিসের বিরোধীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়া গ্রুটার্সকে প্রতিহত করতে গিয়ে ডিস্যান্টিস সম্ভবত ভুল করেছেন। কারণ এর মাধ্যমে তিনি ট্রাম্পের আরও বেশি বিরাগভাজন হয়েছেন।
এমনকি, ভবিষ্যতে যদি তিনি আবার হোয়াইট হাউসের জন্য চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রেও ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ডিস্যান্টিসের স্ত্রী কেসিও ফ্লোরিডার গভর্নর পদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেখানেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ট্রাম্প ও গ্রুটার্সের সমর্থনপুষ্ট বাইরন ডোনাল্ডস-এর মতো শক্তিশালী ব্যক্তি রয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে ডিস্যান্টিস দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ তিনি এখন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন।
ফ্লোরিডার রাজনীতিতে এক সময়ের প্রভাবশালী এই নেতার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন অনেকেই সন্দিহান।
তথ্য সূত্র: সিএনএন