ঘরের খাবার ভাগাভাগি নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে বিবাদ, যা হাসপাতালে বিল পরিশোধের দাবিতে পৌঁছেছে। সম্প্রতি, এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে সামাজিক মাধ্যম।
ঘটনাটি ঘটেছে দুই বন্ধুর মধ্যে, যারা একটি ফ্ল্যাটে একসাথে থাকে। তাদের মধ্যে একজনের আনা কেক অন্যজন খেয়ে ফেলেছিল, এবং তার পরেই ঘটে বিপত্তি।
কেকটি খাওয়ার পরেই তার অ্যালার্জির সমস্যা হয়, যার ফলস্বরূপ তাকে হাসপাতালে যেতে হয়। এখন সেই ঘটনার জেরে উঠেছে হাসপাতালের বিল পরিশোধের প্রশ্ন।
জানা গেছে, ২৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার বন্ধু, যিনি ২৪ বছর বয়সী, একটি ফ্ল্যাটে থাকে। তারা আগে বন্ধু ছিল, কিন্তু একসাথে থাকার সময় তাদের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে চুক্তি হয়।
তারা ঠিক করে যে তারা আলাদাভাবে নিজেদের খাবারদাবার কিনে খাবে এবং কারো জিনিস কেউ ব্যবহার করবে না। তাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা মিনি ফ্রিজও ছিল, যাতে কারো খাবার অন্যজন ভুল করে খেলেও কোনো সমস্যা না হয়।
কিন্তু সম্প্রতি, ২৪ বছর বয়সী লোকটি যখন ফ্ল্যাটে ফেরে, তখন সে তার ফ্রিজ খালি দেখতে পায়। সেখানে তার জন্য রাখা কেকটি ছিল না।
পরে জানা যায়, তার বন্ধু, যিনি বাদাম থেকে অ্যালার্জির শিকার হন, তিনি সেই কেকটি খেয়েছিলেন। কেক খাওয়ার পরেই তার মুখ ফুলে যায় এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিতে হয়।
চিকিৎসার পর যখন হাসপাতালের বিল আসে, তখন বন্ধুটি তার বন্ধুর কাছে সেই বিল পরিশোধের জন্য চাপ দিতে শুরু করে।
তার যুক্তি ছিল, “তুমিই তো আমাকে বিষ খাইয়েছ!” যদিও ২৪ বছর বয়সী লোকটি বিল দিতে রাজি হননি।
তিনি বরং বন্ধুকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, “তুমি আমার কেক চুরি করে খেয়েছ, আর এখন বিল দেওয়ার কথা বলছ?”
এই ঘটনার পরে, তারা বিষয়টি তাদের অন্যান্য বন্ধুদের জানায়। বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য ২৪ বছর বয়সী লোকটিকে বিলের কিছু অংশ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়।
ঘটনার সূত্র ধরে, বিষয়টি নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘রেডিট’-এ আলোচনা শুরু হয়। সেখানে অনেকেই এই বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছেন।
আলোচনায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিই ২৪ বছর বয়সী লোকটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, এখানে মূল সমস্যা হলো, কারো অনুমতি ছাড়া অন্য কারো জিনিস ব্যবহার করা।
একজন ব্যবহারকারীর মন্তব্য ছিল, “যদি সে তোমার ওষুধ খেত এবং তার কোনো সমস্যা হতো, তবে কি তুমি তার চিকিৎসার খরচ দিতে বাধ্য হতে?”
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, বন্ধুদের মধ্যে সামান্য একটি বিষয় নিয়ে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, যখন সেখানে অন্যের ব্যক্তিগত অধিকার এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির মতো বিষয় জড়িত থাকে।
তথ্য সূত্র: পিপল