একাই বাথরুম পরিষ্কার করতেন! তারপর যা হলো, শুনলে অবাক হবেন!

শিরোনাম: নীরব প্রতিবাদ: ঘর পরিষ্কারের দায়িত্ব ভাগাভাগি করতে এক অভিনব কৌশল

কাজের চাপ আর ব্যস্ততার যুগে, একসঙ্গে থাকার সময়ে অনেক কিছুই ভাগ করে নিতে হয়। ঘর-গৃহস্থালীর কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র—সবকিছুতেই একটা বোঝাপড়া দরকার।

কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, কিছু দায়িত্ব কারো একার ঘাড়েই এসে পড়ে। বিশেষ করে বাথরুমের মতো একটা জায়গায়, যেখানে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাটা খুব জরুরি, সেখানে যদি দেখা যায় সবাই এড়িয়ে যাচ্ছে, তাহলে সমস্যা বাড়ে।

সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনার কথা জানা গেছে, যেখানে একজন ব্যক্তি তাঁর ফ্ল্যাটমেটদের সঙ্গে এই সমস্যা সমাধানে এক দারুণ কৌশল অবলম্বন করেন।

ঘটনাটি শুরু হয়, যখন ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন যে বাথরুম পরিষ্কার করার কাজটি মূলত তাঁকেই করতে হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বাথরুমের আয়না, বেসিন, কমোড—সবকিছু পরিষ্কার করার দায়িত্ব যেন তাঁর একার কাঁধেই এসে পড়েছিল।

তাঁর ফ্ল্যাটমেটদের এই ব্যাপারে কোনো হেলদোল ছিল না।

তাই তিনি একটি অভিনব উপায় বের করেন। সরাসরি ঝগড়া না করে, তিনি বাথরুম ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন।

তিনি ঠিক করেন, বাথরুমে যাওয়া বন্ধ করে দেবেন। এরপর থেকে তিনি বাইরে, হয় জিম-এ গিয়ে, না হয় অফিসের বাথরুম ব্যবহার করতে শুরু করেন।

এমনকি দাঁত ব্রাশ করার কাজটিও তিনি রান্নাঘরে করতে শুরু করেন। কারণ, তাঁর কর্মব্যস্ত জীবনে বাথরুম এড়িয়ে চলা খুব কঠিন ছিল না।

দিনের পর দিন বাথরুমের এই অবস্থা চলতে থাকে। অপরিষ্কার বাথরুমের দেয়ালে ছাতা ধরে যায়, টুথপেস্টের শুকনো স্তর জমে ওঠে, আর চারিদিকে চুলের ছড়াছড়ি—সব মিলিয়ে একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়।

অবশেষে, তাঁর এক ফ্ল্যাটমেট পরিস্থিতি বুঝতে পারেন এবং সরাসরি তাঁর কাছে জানতে চান, “আরে, বাথরুমটা কি তুমি পরিষ্কার করবে? এটা তো খুবই নোংরা হয়ে আছে।”

উত্তরে তিনি সহজভাবে বলেন, “আমি তো ভাবছিলাম আমরা সবাই মিলে কাজটি ভাগ করে নিই, তাই তো? আমি তো বাথরুম ব্যবহারই করিনি।”

কথাটি শেষ হওয়ার পরেই যেন এক নীরবতা নেমে আসে।

এর কিছুক্ষণ পরই তাঁর ফ্ল্যাটমেটরা বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং তাঁরা নিজেরাই বাথরুম পরিষ্কার করতে শুরু করেন।

যদিও পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি, তবে এখন বাথরুম আগের চেয়ে অনেক পরিচ্ছন্ন থাকে।

সবচেয়ে বড় কথা, এখন আর বাথরুমে যেতে তাঁর “গ্লাভস” পরার প্রয়োজন হয় না।

এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, সব সময় সরাসরি ঝগড়া বা বিতর্কের প্রয়োজন হয় না।

অনেক সময়, কিছু না বলেও বুঝিয়ে দেওয়া যায়। দায়িত্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে নীরব থাকাও একটা কার্যকরী কৌশল হতে পারে।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *