জাপানের ‘নীল দ্বীপ’-এ খুলল নতুন বিলাসবহুল হোটেল! আকর্ষণীয় অফার!

**জাপানের মিয়াকো দ্বীপে নতুন বিলাসবহুল রিসোর্ট: প্রকৃতির মাঝে শান্তির ঠিকানা**

পর্যটকদের জন্য এক দারুণ খবর! জাপানের ওকিনাওয়া অঞ্চলের মিয়াকো দ্বীপে সম্প্রতি চালু হয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট, যার নাম রোজউড মিয়াকোজিমা।

যারা প্রকৃতির কাছাকাছি, শান্ত পরিবেশে অবকাশ কাটাতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই রিসোর্টটি হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।

জাপানের দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।

মিয়াকো দ্বীপ ‘প্রার্থনার দ্বীপ’ নামেও পরিচিত, যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গভীর ছাপ বিদ্যমান।

এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে মাথায় রেখে রোজউড মিয়াকোজিমার নকশা করা হয়েছে।

ডাচ ডিজাইন হাউস স্টুডিও বাই পিয়েট বুন-এর ডিজাইন করা এই রিসোর্টটি তৈরি করা হয়েছে স্থানীয় উপকরণ ও জাপানি নান্দনিকতার মিশেলে।

এখানে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে থাকার এক অসাধারণ অনুভূতি পাওয়া যায়।

রিসোর্টটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।

মোট ৫৫টি ভিলা রয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন ধরনের: সমুদ্রের কাছাকাছি অবস্থিত ভিলা, পাহাড়ের উপরে অবস্থিত ভিলা এবং অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানে অবস্থিত ভিলা।

প্রতিটি ভিলা স্থানীয় নকশা ও উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে, যা অতিথিদের আরাম ও আতিথেয়তার চূড়ান্ত অভিজ্ঞতা দেবে।

এছাড়াও, এখানে তিনটি বৃহৎ আকারের বাড়ি রয়েছে, যেগুলিতে বিশেষ সুবিধা এবং ব্যক্তিগত বাটলারের ব্যবস্থা আছে।

রোজউড মিয়াকোজিমার রেস্তোরাঁগুলিতে ওকিনাওয়ার স্থানীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করা যাবে।

তাছাড়া, এখানে জাপানি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ধরনের খাবারেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

দিনের শুরুতে তাজা সবজি, সি-ফুড এবং স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়।

এখানকার বার-গুলিতে বিভিন্ন ধরনের ককটেল ও স্থানীয় পানীয়ের স্বাদ নেওয়া যেতে পারে।

যারা একটু ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাদের জন্য এখানে রয়েছে স্পা-এর ব্যবস্থা।

এখানে ওকিনাওয়ার ঐতিহ্যবাহী উপায়ে তৈরি বিভিন্ন থেরাপি ও চিকিৎসা উপলব্ধ।

শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করতে এই স্পা-গুলি বিশেষভাবে সহায়ক।

মিয়াকো দ্বীপে ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এখানকার স্বচ্ছ নীল জলরাশি।

এখানে স্কুবা ডাইভিং, স্নোরকেলিং-এর মতো সমুদ্র-সম্পর্কিত বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সুযোগ রয়েছে।

রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পরিবেশ ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।

তারা কচ্ছপ সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।

রোজউড মিয়াকোজিমায় যাওয়া খুবই সহজ।

টোকিও, কিয়োটো এবং ওসাকা থেকে বিমানে করে সরাসরি এখানে পৌঁছানো যায়।

যারা প্রকৃতির মাঝে শান্তি খুঁজে বেড়াতে ভালোবাসেন এবং বিলাসবহুল জীবন উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এই রিসোর্টটি একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে।

এখানে রাতের জন্য কক্ষের ভাড়া শুরু হচ্ছে প্রায় ১,৪০০ মার্কিন ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রায় ১,৫৪,০০০/- বাংলাদেশী টাকা)।

তথ্যসূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *