হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে দৈনিক ১৫ মিনিটের হাঁটা: নতুন গবেষণা
হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু কতটুকু সময় হাঁটছেন, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কতক্ষণ ধরে হাঁটছেন।
গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ১৫ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে হাঁটলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। যারা অল্প সময়ের জন্য হাঁটেন, তাদের তুলনায় দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটা হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতে বেশি সাহায্য করে।
যুক্তরাজ্যের একটি স্বাস্থ্য গবেষণা ডেটাবেইস, বায়োব্যাঙ্কে (UK Biobank) সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩৩,৫৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৬২ বছর। শুরুতেই তাদের কারো হৃদরোগ বা ক্যান্সার ছিল না। তাদের দৈনিক হাঁটার অভ্যাস এবং হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করাই ছিল এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হাঁটার সময়কালের ভিত্তিতে কয়েকটি দলে ভাগ করা হয়। দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ১৫ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে হেঁটেছেন, তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
এছাড়া, হৃদরোগ সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা, যেমন – হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও তাদের মধ্যে অনেক কম ছিল। অন্যদিকে, যাদের হাঁটার সময় ৫ মিনিটের কম ছিল, তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি দেখা গেছে।
গবেষণাটি বলছে, যারা দৈনিক ৮,০০০ পদক্ষেপের কম হাঁটেন, তাদের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটা খুবই উপকারী। এই ধরনের ব্যায়ামকে তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নিতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত শরীরচর্চা না করা মানুষের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটা খুবই জরুরি। এর ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো এবং সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করেন, এই গবেষণার ফল স্বাস্থ্য বিষয়ক নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শগুলোতে হাঁটার এই নতুন ধারণা যোগ করা যেতে পারে।
তবে, কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। যেমন – সবার জীবনযাত্রার ধরন একরকম নয়। কারো হয়তো হাঁটার জন্য পর্যাপ্ত সময় নাও থাকতে পারে, আবার কারো শারীরিক সীমাবদ্ধতাও থাকতে পারে।
সবার কথা মাথায় রেখে ব্যায়ামের পরিকল্পনা করা উচিত।
তাহলে, সুস্থ থাকতে হলে আজ থেকেই শুরু করুন। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য হাঁটার অভ্যাস গড়ুন। এটি আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে সাহায্য করবে।
তথ্য সূত্র: হেলথলাইন
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			