আলোচিত: ট্রাম্পের আস্থাভাজন, নতুন ভূমিকায় রুবিও!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলে নতুন মোড়, ট্রাম্পের আস্থাভাজন হিসেবে আরও শক্তিশালী হচ্ছেন মার্কো রুবিও।

ওয়াশিংটন ডিসি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ কাঠামোর পরিবর্তন ঘটেছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে সরিয়ে দিয়ে সেই পদে আপাতত আসীন হতে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

একইসঙ্গে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ওয়াল্টজকে। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প নিজেই এ ঘোষণা দেন।

জানা গেছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু দুর্বলতার কারণে ওয়াল্টজের উপর ট্রাম্পের আস্থা কমে যায়। বিশেষ করে, ইয়েমেনে সামরিক হামলা সংক্রান্ত একটি গোপন আলোচনায় ওয়াল্টজের অনিচ্ছাকৃতভাবে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করা ছিল অন্যতম কারণ।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহলে এই নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকের মতে, রুবিওকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ায় ট্রাম্পের প্রতি তাঁর আনুগত্যের প্রতিফলন ঘটেছে।

রুবিও বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত হিসেবে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদেও কাজ করছেন। এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের সময়ে হেনরি কিসিঞ্জার একইসাথে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ওয়াল্টজের বিদায় এবং রুবিওর নতুন দায়িত্ব গ্রহণের ফলে হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ওয়াল্টজ এই ধরনের কোনো পদে যেতে আগ্রহী ছিলেন না।

অন্যদিকে, রুবিও দ্রুততার সাথে প্রেসিডেন্টের আস্থা অর্জন করে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর প্রভাব আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেete হেগসেথের বিরুদ্ধেও একই ধরনের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর প্রতি আস্থা রেখেছেন।

ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলার পরিকল্পনার গোপন তথ্য তিনি তাঁর স্ত্রী এবং ভাইয়ের সাথে শেয়ার করেছিলেন।

হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে এই ধরনের পরিবর্তন আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং চীনের সাথে বাণিজ্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকের মতে, এর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন তার অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা কাটিয়ে আরও সুসংহত হতে চাইছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *