মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত, আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা ব্যর্থ হলে সরে আসার হুঁশিয়ারি।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা যদি সফল না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও।
সম্প্রতি প্যারিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই ইঙ্গিত দেন। রুবিও বলেন, খুব দ্রুতই, সম্ভবত কয়েক দিনের মধ্যেই, যুক্তরাষ্ট্রকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানো সম্ভব কিনা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে একটি সম্ভাব্য শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। রুবিও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং শান্তি পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
সিনেটর রুবিও বলেন, তারা প্যারিসে এসেছিলেন ‘যুদ্ধ বন্ধের জন্য কী করা যায়’ এবং ‘যুদ্ধটি শেষ করা সম্ভব কিনা’ তা নিয়ে আলোচনা করতে।
তিনি আরও যোগ করেন, “যদি এটা সম্ভব না হয়, যদি আমরা অনেক দূরে থাকি এবং কোনো সমাধান খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট সম্ভবত বলবেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছি।”
রুবিও জোর দিয়ে বলেন, “এটা আমাদের যুদ্ধ নয়। আমরা এর সূত্রপাত করিনি।
যুক্তরাষ্ট্র গত তিন বছর ধরে ইউক্রেনকে সাহায্য করে আসছে এবং আমরা চাই যুদ্ধ শেষ হোক, কিন্তু এটি আমাদের যুদ্ধ নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
তবে যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রিতা এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে পরিবর্তন আসছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ধৈর্য্য ধরার একটা সীমা আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায়, এই সংঘাতের দ্রুত নিষ্পত্তি জরুরি।
কারণ, এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপরও এর প্রভাব পড়ছে।
বর্তমানে, জাতিসংঘে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে।
তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে, শান্তি প্রতিষ্ঠার যেকোনো উদ্যোগে বাংলাদেশের সমর্থন থাকবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন