শিরোনাম: ইংল্যান্ডের রাগবি লিগে যৌন হয়রানির অভিযোগ, নেতৃত্ব নিয়ে সংকট
ইংল্যান্ডের রাগবি ফুটবল লীগ (আরএফএল) দেশটির রাগবি খেলার প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বর্তমানে এই সংস্থায় যৌন হয়রানি এবং নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে, যা খেলাটির প্রশাসনিক কাঠামোতে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, আরএফএলের অভ্যন্তরে কর্মীদের কাছ থেকে আসা একাধিক বেনামী অভিযোগে কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রমাণ মিলেছে।
**অভিযোগের ঢেউ**
অভিযোগগুলি মূলত আরএফএলের অভ্যন্তরে বিদ্যমান একটি ঐতিহাসিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরে, যেখানে নারীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য এবং আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। কিছু নারী কর্মীর অভিযোগ, তারা পুরুষ সহকর্মীদের কাছ থেকে এমন অনেক কথা শুনেছেন যা তাদের কাছে অপমানজনক মনে হয়েছে।
এই অভিযোগগুলির কারণে খেলাটির পরিচালনা পর্ষদের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
গত কয়েক সপ্তাহে আরএফএলের ভেতরে ক্ষমতার লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংস্থার প্রধান, সাইমন জনসন সহ তিনজন নারী পরিচালক পদত্যাগ করেছেন।
এরপর ব্র্যাডফোর্ড বুলসের চেয়ারম্যান, নাইজেল উডকে খেলাটির কৌশলগত পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
**অর্থনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব**
আরএফএলের এই সংকট শুধু অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এই ঘটনার কারণে খেলাটির আর্থিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলোতেও প্রভাব পড়তে পারে।
ব্রিটেনের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আরএফএলকে পাঁচ বছরের জন্য প্রায় ১১.৯ মিলিয়ন পাউন্ড (যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬১ কোটি টাকার সমান, বিনিময় হার: ১৩.৫০ টাকা/১ পাউন্ড) অনুদান দিয়ে থাকে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা অভিযোগগুলি সম্পর্কে অবগত এবং উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল রাগবি লীগ (এনআরএল) আরএফএলের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন নিয়ে অসন্তুষ্ট। এর ফলে সুপার লীগে বিনিয়োগের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক রাগবি লীগ (আইআরএল) ইংল্যান্ডের আসন বাতিল করার কথা বিবেচনা করছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলাটির প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
**সংস্থার প্রতিক্রিয়া**
আরএফএলের প্রধান নির্বাহী, টনি সাটন জানিয়েছেন, অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং যারা উদ্বেগের মধ্যে আছেন, তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তিনি।
তবে, ঘটনার বিস্তারিত বিষয়ে সংস্থাটি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
এই ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন “আরএফএল এবং আরএল কমার্শিয়ালের নারী” নাম দিয়ে একটি বেনামী চিঠি প্রকাশিত হয়। যেখানে খেলাটির সঙ্গে জড়িত কিছু পুরুষের বিরুদ্ধে নারীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ, হয়রানি এবং অপমান করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান