রুমার উইলিস, যিনি ‘ডাই হার্ড’ খ্যাত অভিনেতা ব্রুস উইলিসের জ্যেষ্ঠ কন্যা, সম্প্রতি পিতার স্মৃতিভ্রংশ রোগ নিয়ে বাবার প্রতি গভীর ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি தந்தা দিবসে সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানান, বাবার স্মৃতি হারানো কষ্ট তাকে কতটা পীড়া দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ওই পোস্টে রুমা তার শৈশবের কিছু ছবি যুক্ত করেন, যেখানে বাবা ব্রুস উইলিসের সঙ্গে তার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো দেখা যায়। তিনি লেখেন, “আজকের দিনটা বেশ কঠিন।
বাবাকে সবকিছু বলতে ইচ্ছে করে, আমার জীবনে কী চলছে, সে সব জানাতে মন চায়। তাকে জড়িয়ে ধরতে, জীবনের গল্প শুনতে, তার ভালো লাগা-মন্দ লাগা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করে।”
ব্রুস উইলিসের স্মৃতিভ্রংশ রোগ ধরা পড়ার পর তাদের সম্পর্কের গভীরতা কিছুটা হলেও বদলে গেছে, সে কথা উল্লেখ করে রুমা আরও বলেন, “আমি যখন পারতাম, তখন কেন বাবাকে এত প্রশ্ন করিনি, সেই আফসোস হয়।
তবে আমি জানি, বাবা চান না আমি আজকের দিনে মন খারাপ করি। তাই আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, কারণ তিনি এখনো আমার সঙ্গে আছেন, আমি তাকে জড়িয়ে ধরতে পারি, তার গালে চুমু খেতে পারি এবং তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে পারি।”
রুমার আড়াই বছর বয়সী কন্যা লুয়েত্তার কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “আমি যখন দেখি আমার মেয়ে লুয়েত্তাকে বাবা দেখছেন, তখন তার চোখে যে আনন্দ ফুটে ওঠে, সেই মুহূর্তগুলো আমার কাছে অমূল্য।”
২০২২ সালে ব্রুস উইলিসের ফ্রন্টটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া (এফটিডি) ধরা পড়ে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্মৃতিশক্তি এবং আচরণে পরিবর্তন আসে।
৬০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা যায়। বর্তমানে এর কোনো চিকিৎসা নেই।
ব্রুস উইলিসের স্ত্রী এমা হেমিং উইলিসও তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করেছেন।
তিনি লেখেন, “আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আমি চাইতাম, পরিস্থিতি অন্যরকম হোক, আমাদের পরিবারের জন্য সবকিছু সহজ হোক। কিন্তু যা আছে, তাতেই অভ্যস্ত হতে হবে।”
এই কঠিন সময়ে ব্রুস উইলিসের পরিবারের অন্যান্য সদস্য, যেমন – রুমার সৎ বোন স্কট, টলুলাহ এবং তাদের মা ডেমি মুরও ব্রুস উইলিসের পাশে রয়েছেন।
এমা জানিয়েছেন, ব্রুস উইলিসের রোগ নির্ণয়ের পর শুরুতে তারা তেমন কোনো দিকনির্দেশনা পাননি। তাই, এই রোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাকে অনেক কাঠখোর পোড়াতে হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, আমিই ছিলাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যিনি এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছি। আমরা যদি নিজেদের যত্ন নিতে পারি, তবেই ভালোবাসার মানুষটির পাশে থাকতে পারব।”
তথ্য সূত্র: পিপল