শিরোনাম: সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত অভিনেতা, মেয়ের জন্ম দেখলেন বিমানবন্দরের পর্দায়
ব্রিটিশ অভিনেতা রুপার্ট ফ্রেন্ড, যিনি ‘হোমল্যান্ড’ এবং আসন্ন সিনেমা ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’-এ অভিনয় করেছেন, সম্প্রতি এক হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। সিনেমার শুটিংয়ের কারণে তিনি তাঁর মেয়ের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে পারেননি। এই ঘটনাটি অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন।
ঘটনাটি এমন, যখন রুপার্ট ফ্রেন্ড লন্ডনে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: রিবার্থ’ সিনেমার শুটিং করছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী, আমেরিকান অ্যাথলেট এবং অভিনেত্রী অ্যামি মালিন্স-এর সন্তান প্রসবের সময় হয়। রুপার্ট জানান, তিনি তখন একটি দৃশ্যের শুটিং করছিলেন, যেখানে তাঁকে প্রায় একশো ফুট উপরে তারের ওপর ঝুলতে হচ্ছিল। এমন সময় সেটের কর্মীরা তাঁকে দ্রুত নিচে নামানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীর ফোন এসেছে।
“আমি তখন বললাম, ‘প্রিয়, আমি একটু ব্যস্ত আছি।’” হাসতে হাসতে জানান রুপার্ট। এরপরই তিনি জানতে পারেন, অ্যামির জল ভেঙে গেছে এবং তিনি সন্তানসম্ভবা। এরপর দ্রুত তিনি ইংল্যান্ড থেকে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হন, যাতে মেয়ের জন্মের সময় সেখানে থাকতে পারেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তিনি সময়ের অভাবে মেয়ের জন্মের সময় সেখানে পৌঁছাতে পারেননি।
বিমানবন্দরে বসে রুপার্ট তাঁর মেয়ের জন্ম প্রত্যক্ষ করেন, তাও আবার একটি ‘ফেইসটাইম’ কলের মাধ্যমে। “আমি তখন চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি, আর এয়ার হোস্টেসরা আমাকে শ্যাম্পেন দিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন,” জানান রুপার্ট। সৌভাগ্যবশত, বিমানের সামান্য দেরির কারণে তিনি মেয়ের জন্মের মুহূর্তটি দেখতে পান।
রুপার্ট ফ্রেন্ড জানান, “আমি ফ্লাইটটি প্রায় মিস করতে বসেছিলাম। একদিকে, আমি ফেইসটাইমে মেয়ের জন্ম দেখব, নাকি তাড়াতাড়ি সেখানে যাওয়ার জন্য প্লেনে উঠব, এই দ্বিধায় ছিলাম। এরপর বিমানবন্দরের সেই মিষ্টি ঘোষণা, ‘আপনার ফ্লাইট ২০ মিনিটের জন্য বিলম্বিত হয়েছে’—আর তখনই আমি জানতে পারি, আমার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে।”
২০১৩ সালে অ্যামি মালিন্স-এর সঙ্গে পরিচয় হয় রুপার্টের। ২০১৬ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রুপার্ট এবং অ্যামি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন সাধারণত সবার থেকে দূরে রাখেন। অ্যামি জন্মগতভাবে পায়ের সমস্যায় (ফিবুলার হেমিমেলিয়া) আক্রান্ত ছিলেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে প্যারাঅলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন। অভিনয়ে তিনি ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এ ‘এলেভেন’-এর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেছেন।
রুপার্ট ফ্রেন্ডের এই ঘটনা বুঝিয়ে দেয়, একজন অভিনেতা হিসেবে সাফল্যের শীর্ষে থেকেও ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সময় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, যখন পেশা এবং পরিবারের মধ্যে একটি কঠিন ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়।
তথ্য সূত্র: পিপল
