আলমেইডার মঞ্চে রুপার্ট গোল্ডের শেষ যাত্রা: তারকা, নাটক আর উত্তেজনার ঢেউ!

রূপার্ট গোল্ডের বিদায়: আলমেডা থিয়েটারের মঞ্চে এক যুগের সমাপ্তি।

লন্ডনের আলমেডা থিয়েটারের পরিচালক রুপার্ট গোল্ড তাঁর ১২ বছরের কর্মজীবনের ইতি টানছেন। সম্প্রতি তিনি তাঁর বিদায়ী কার্যক্রম ঘোষণা করেছেন, যা তাঁর মতে, এই সময়ে তাঁর কাজের ‘আত্মা ও মূল্যবোধ’ প্রতিফলিত করে।

এই ঘোষণার মাধ্যমে, গোল্ড তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেছেন, যা বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রেমীদের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হতে পারে।

গোল্ডের বিদায়ী কার্যক্রমটি বেশ কয়েকটি দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। এতে ১০টি প্রযোজনা এবং চারটি বিশ্ব প্রিমিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে খ্যাতনামা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উপস্থিতি, যেমন জশ ও’কনর এবং রোমালা গরাই। এছাড়াও, ১৯৮০-এর দশকের গে জীবন নিয়ে অ্যালান হলিংহার্স্টের বুকার পুরস্কার বিজয়ী উপন্যাস ‘দ্য লাইন অফ বিউটি’-র মঞ্চ রূপান্তর একটি বড় আকর্ষণ।

ব্রিট ইস্টার্ন এলিসের বই অবলম্বনে নির্মিত ‘আমেরিকান সাইকো’ (American Psycho) নাটকের পুনরুজ্জীবনও এই তালিকায় রয়েছে, যা গোল্ডের প্রথম দিকের কাজের একটি প্রতিচ্ছবি।

গোল্ড তাঁর সময়ে অভিনেতা এবং পরিচালকদের একটি শক্তিশালী দল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তাঁর পছন্দের তালিকায় ছিলেন রেবেকা ফ্রেনাল। সারা কেনের মর্মস্পর্শী নাটক ‘ক্লিন্সড’-এর পুনরুজ্জীবনে ফ্রেনাল কাজ করেছেন।

গোল্ড যখন ওল্ড ভিকের আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, তখন ফ্রেনাল সেখানে সহযোগী পরিচালক হিসেবে তাঁর সঙ্গে যোগ দেবেন।

গোল্ডের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো, তিনি সবসময় সময়ের সেরা লেখক এবং পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

রবার্ট আইকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সহযোগিতা ছিল, যার ফলস্বরূপ ‘ওরেস্টিয়া’ ও ‘দ্য ডক্টর’-এর মতো অসাধারণ কাজ হয়েছে।

এছাড়া, মাইক বার্টলেটের নাটক, যেমন ‘কিং চার্লস থ্রি’, দর্শকদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।

ওমর এলিরিয়ান এবং বেথ স্টিলের মতো প্রতিভাবানদের সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন।

গোল্ডের সময়ে মঞ্চে আসা কিছু স্মরণীয় কাজের মধ্যে রয়েছে, ইউজিন আয়ানেস্কোর ‘দ্য চেয়ারস’, জেরেমি ও’ হ্যারিসের ‘ড্যাডি: আ মেলোড্রামা’, যেখানে বিশাল সুইমিং পুল ব্যবহার করা হয়েছিল, এবং ‘দ্য ইয়ার্স’।

এই নাটকগুলোতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অসাধারণ অভিনয়শৈলী দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

রূপার্ট গোল্ড শুধু একজন পরিচালকই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন এমন একজন শিল্পী যিনি সবসময় নতুনত্বের সন্ধানে ছিলেন।

তাঁর সময়ে আলমেডা থিয়েটার, লন্ডনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।

তাঁর এই বিদায়, নিঃসন্দেহে একটি যুগের সমাপ্তি।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *