ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দী বিনিময়ের কয়েক ঘণ্টা পরই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চলল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে। শনিবার রাতের এই হামলায় কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিসকো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামলায় দুটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার শুরু হওয়া এই হামলার সময় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বড় ধরনের বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া চলছিল। দুপক্ষই এক হাজার করে মোট দুই হাজার বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে।
বন্দী বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া শনিবার ও রবিবার পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তাকাচেঙ্কো জানিয়েছেন, কিয়েভের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে। এছাড়াও, শহরের উত্তরাঞ্চলে ওবোলনে একটি শপিং সেন্টারে ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে।
বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ড্রোন থেকে পড়া ধ্বংসাবশেষও পাওয়া গেছে।
গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় আক্রমণের পর এই প্রথম দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হয়।
মূলত, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রতি যুদ্ধবিরতি অথবা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একটি আল্টিমেটাম দেওয়ার পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই বৈঠকের প্রস্তাব দেন।
ইস্তাম্বুলের বৈঠকে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা রাশিয়ার প্রতি অবিলম্বে এবং শর্তহীনভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আহ্বান জানালেও, তা বাস্তবায়িত হয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কেউই সরাসরি এই বৈঠকে অংশ নেননি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন