যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভ: রাশিয়ার বোমা হামলায় কেঁপে উঠল ইউক্রেন!

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। রবিবার ভোরে কিয়েভে চালানো বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

একইসাথে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলেও আঘাত হেনেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার নিজের শহর ক্রিভি রিহ-এ হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়াকে দুর্বল আখ্যায়িত করেছেন।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিশকো জানিয়েছেন, রাজধানী কিয়েভের তিনটি আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার হামলায় আগুন ধরে যায় এবং তিনজন আহত হয়।

এর আগে, শনিবার রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং চারজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ভিটালি কিম।

ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাতের হামলায় রাশিয়া ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০৯টি ড্রোন নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪০টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ১১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

গত শুক্রবার ক্রিভি রিহ শহরে রাশিয়ার হামলায় ১৮ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৯ জন শিশু ছিল। আবাসিক এলাকার একটি খেলার মাঠের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।

এই ঘটনার পর জেলেনস্কি এক আবেগপূর্ণ বিবৃতিতে নিহত শিশুদের নাম উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মার্কিন দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া হতাশাজনক: এত শক্তিশালী একটি দেশ, এত শক্তিশালী একটি জাতি – অথচ তাদের প্রতিক্রিয়া এত দুর্বল।”

এদিকে, ক্রিভি রিহ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার ভিলকুল জানিয়েছেন, নিহতদের স্মরণে ৭ই এপ্রিল থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আংশিক যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালাচ্ছেন, ঠিক তখনই এই হামলাগুলো চালানো হলো। জেলেনস্কি বলেছেন, ক্রিভি রিহে হামলা প্রমাণ করে রাশিয়া শান্তির প্রতি আগ্রহী নয়।

পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকায় রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় তারা তাদের আকাশসীমায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

পোল্যান্ডের সামরিক বাহিনী ও তাদের মিত্ররা জানিয়েছে, তারা সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে। ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে পোল্যান্ড এই অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *