আলাস্কার এক অবসরপ্রাপ্ত দমকল বিভাগের পরিদর্শক মার্ক ওয়ারেনকে সম্প্রতি একটি মোটরসাইকেল উপহার দিয়েছে রাশিয়া সরকার।
ঘটনাটি ঘটেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের কয়েকদিন পরেই।
উপহার হিসেবে পাওয়া মোটরসাইকেলটির মূল্য প্রায় ২২ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকার সমান।
মার্ক ওয়ারেন এর আগে থেকেই একটি ইউরাল ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল ব্যবহার করতেন।
জানা যায়, রাশিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মীরা তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
সাক্ষাৎকারে ওয়ারেন তার মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করতে অসুবিধার কথা বলেছিলেন।
এই সাক্ষাৎকারটি রাশিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এরপরই রুশ সরকার তাকে নতুন মোটরসাইকেলটি উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ওয়ারেন জানান, উপহারটি পাওয়ার আগে তিনি বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন।
তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো এটি কোনো প্রতারণা।
কিন্তু ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের পর তিনি নিশ্চিত হন যে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাকে সত্যি একটি মোটরসাইকেল উপহার দেওয়া হচ্ছে।
এরপর, গত ১৩ই আগস্ট তিনি জানতে পারেন যে, মোটরসাইকেলটি তার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
পরের দিন, ওয়ারেন তার স্ত্রীকে নিয়ে একটি হোটেলে যান, যেখানে রুশ দূতাবাসের কয়েকজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাকে মোটরসাইকেলটি হস্তান্তর করা হয়।
সবুজ রঙের অত্যাধুনিক এই মোটরসাইকেলটি দেখে ওয়ারেন বেশ অবাক হয়েছিলেন।
তিনি জানান, উপহারটি পেয়ে তিনি আনন্দিত, তবে একই সঙ্গে কিছুটা দ্বিধায়ও ছিলেন।
কারণ, তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, এর মাধ্যমে হয়তো তিনি কোনো বিতর্কের জন্ম দিতে পারেন।
ওয়ারেন আরও জানান, মোটরসাইকেলটি হস্তান্তরের সময় তিনি একটি কাগজ দেখেন, যেখানে উল্লেখ ছিল যে, এটি গত ১২ই আগস্ট তৈরি করা হয়েছে।
তার ধারণা, সম্ভবত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শোরুম থেকে এটি বিমানে করে আনা হয়েছে।
এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন উপহার দেওয়া আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব একটা দেখা যায় না।
তবে, ওয়ারেনের মতে, তিনি চান না এই উপহারের কারণে তার পরিবারের কোনো ক্ষতি হোক।
তথ্য সূত্র: সিএনএন