শিরোনাম: কিয়েভে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, আহত ২৩।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার ভোরের এই হামলায় শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিশকো জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ভোররাতে প্রায় ৫৫০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ছিল ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন।
এছাড়া, তারা ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। কিয়েভে নিযুক্ত অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, হামলার সময় তারা অবিরাম ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের শব্দ শুনেছেন।
সেই সঙ্গে শোনা গেছে বিস্ফোরণ এবং তীব্র মেশিনগানের আওয়াজ, কারণ ইউক্রেনীয় বাহিনী আকাশ থেকে আসা হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল।
কিয়েভ ছিল এই হামলার প্রধান লক্ষ্য। শহরের অন্তত পাঁচটি জেলার বিভিন্ন আবাসিক ভবন, গুদামঘর, গ্যারেজ এবং মেরামতির কারখানাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হানে।
একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবন আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সাত তলা ভবনের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একটি ১৪ তলা ভবনে আঘাত হানার ফলে আগুন ধরে যায় এবং আশেপাশে থাকা কয়েকটি গাড়িও আগুনে পুড়ে যায়।
এছাড়া, শেভচেঙ্কোভস্কি জেলায় একটি আট তলা ভবনের প্রথম তলার ক্ষতি হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ২৭০টি লক্ষ্যবস্তুকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
এর মধ্যে দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল।
তবে, রুশ বাহিনী আটটি স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম হয়, যেখানে তারা ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৬৩টি ড্রোন ব্যবহার করে।
ধ্বংস হওয়া ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ অন্তত ৩৩টি স্থানে এসে পড়ে।
এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে কিছু অস্ত্রের চালান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন প্রতিরোধের জন্য জরুরি ছিল।
এর আগে, গত এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাশিয়া কিয়েভে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছিল।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছিল, সেই হামলায় ৫৩৭টি ড্রোন, কিছু ফাঁদ এবং ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
ইউক্রেনের রেলওয়ে অপারেটর ‘ইউক্রজালিয়ানিৎসিয়া’ (Ukrzaliznytsia) জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় কিয়েভের রেল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস