রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, এবার কি পিছিয়ে গেল ইউক্রেন? রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার ঘোষণা করেছেন যে, ইউক্রেনের সেনারা গত বছর যে কুর্স্ক সীমান্ত অঞ্চল দখল করেছিল, রাশিয়া তা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই খবরটি যদি সত্যি হয়, তবে যুদ্ধের ময়দানে এটি মস্কোর জন্য একটি বড় বিজয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
পুতিনের মতে, কিয়েভ সরকারের সেনারা কুর্স্কে তাদের অভিযান সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি রাশিয়ার সেনাদের এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে, ইউক্রেন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পুতিনের এই দাবির কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলিও যুদ্ধক্ষেত্রের খবর স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
গত বছর আগস্ট মাসে, ইউক্রেনীয় বাহিনী আকস্মিকভাবে কুর্স্ক অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং দ্রুত কিছু এলাকা দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো বিদেশি শক্তি রাশিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভূখণ্ড দখল করে। এরপর থেকেই রাশিয়া, ইউক্রেনীয় সেনাদের হটিয়ে নিজেদের সীমান্ত পুনরুদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
অন্যদিকে, কিয়েভ সরকার সেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য মূল্যবান সম্পদ বিনিয়োগ করেছে, কারণ তারা চেয়েছিল, শান্তি আলোচনায় এই অঞ্চলকে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল, যুদ্ধের পূর্ব ফ্রন্টে রাশিয়ার চাপ কমানো।
যদি পুতিনের দাবি সত্য হয়, তাহলে কুর্স্ককে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের ইউক্রেনের আশা ভেঙে যাবে। এর ফলে কিয়েভের রাজনৈতিক প্রভাব এবং সৈন্যদের মনোবল, উভয় ক্ষেত্রেই বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে। প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেছেন, কুর্স্ক পুনরুদ্ধার “ফ্রন্টের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে আমাদের সৈন্যদের আরও সফল অভিযানের পরিস্থিতি তৈরি করবে।
শনিবার সকালে ভ্যাটিকানে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়, যেখানে সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা হয়। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র এই বৈঠককে “ফলপ্রসূ” বলে অভিহিত করেছেন।
যুদ্ধ পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই বিষয়ে আরও খবর পাওয়া গেলে, তা জানানো হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন