যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়া আবারও ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে। সোমবার ভোরে দেশটির পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক আক্রমণ চালানো হয়।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া পূর্বাঞ্চলে ৯৬টি ড্রোন ও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার রাতে “মানবিক কারণে” ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন, যা রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকার কথা ছিল। তবে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই হামলার ঘটনা ঘটল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়াকে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই যুদ্ধবিরতিকে “মানবিকতার মোড়কে পুতিনের আরেকটি কৌশল” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কির মতে, “৩০ ঘণ্টা আলোচনার জন্য যথেষ্ট, কিন্তু আস্থা ফেরানোর জন্য নয়। শান্তি ফিরিয়ে আনতে ৩০ দিন সময় দেওয়া যেতে পারে।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই ক্রেমলিন জানিয়ে দেয়, এমন কোনো নির্দেশ তারা দেবে না। এর পরেই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার প্রায় ৩ হাজার বার লঙ্ঘন হয়েছে। বিশেষ করে পোক্রোভস্ক ফ্রন্টে ব্যাপক গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের অবস্থানে ৪৪৪ বার গোলা বর্ষণ করেছে এবং ৯০০টির বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যদিও রাশিয়ার এই দাবিগুলো এখনো যাচাই করা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি মনে করেন, “এই সপ্তাহেই” একটি শান্তি চুক্তি হতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা