ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে, যার ফলস্বরূপ দেশটির বিভিন্ন শহরে বাড়ছে ধ্বংসযজ্ঞ। সম্প্রতি, দেশটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত শহর ডিনিপ্রোতে রুশ ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই প্যারিসে ইউক্রেন সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
ডিনিপ্রোপেট্রোভস্কের গভর্নর সের্হি লিসাক জানিয়েছেন, বুধবার রাতের এই হামলায় ডজনের বেশি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ডিনিপ্রো মেয়র বরিস ফিলাটভ জানিয়েছেন, একটি ছাত্রাবাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ছবিগুলোতে আগুন এবং ধ্বংসস্তূপ দেখা গেছে।
অন্যদিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইজুমের কাছে আরেকটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুইজন আহত হয়েছেন।
রাশিয়া জানিয়েছে, তারা তাদের ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় ড্রোনের আক্রমণ প্রতিহত করেছে। রাশিয়ার দাবি, তারা ৭iটির বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
এছাড়াও, মস্কোর পূর্বে শুয়া শহরেও ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে, তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু ইউক্রেন এখনও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো রকম আপোস করার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত রবিবার সুমি শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৬ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে দুটি শিশুও ছিল।
পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাভ সিকোরস্কি এই ঘটনাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘শুভ ইচ্ছার প্রতি উপহাস’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইউক্রেন সংকট নিরসনে আলোচনা হয়। তবে, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে কিনা, তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা