যুদ্ধ বিরতির পথে? কৃষ্ণ সাগরে হামলা বন্ধে রাজি রাশিয়া!

কৃষ্ণ সাগরে নৌযানগুলোর উপর হামলা বন্ধ করতে রাশিয়া ও ইউক্রেন পৃথকভাবে রাজি হয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হওয়া আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র এই ঘোষণা দিয়েছে।

উভয় দেশই সমুদ্র পথে নিরাপদে চলাচলের নিশ্চয়তা দিতে এবং সামরিক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ ব্যবহার না করতে সম্মত হয়েছে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভ নিশ্চিত করেছেন যে, কিয়েভ কৃষ্ণ সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ ও জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, রুশ যুদ্ধজাহাজ যদি কৃষ্ণ সাগরের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার বাইরে যায়, তবে ইউক্রেন আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে।

উমেরভ দ্রুততম সময়ে বিস্তারিত আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে করে চুক্তির বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা যায়।

এই চুক্তির ঘোষণা আসে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনার পর। আলোচনায় কৃষ্ণ সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধের পাশাপাশি, ২০২২ সালের শস্য চুক্তি পুনরায় চালুর বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়।

তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানির কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া, তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায়, ২০২৩ সালে চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার সার ও কৃষি পণ্য রপ্তানির জন্য বিশ্ব বাজারে প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কৃষি ও সার রপ্তানির জন্য বিশ্ব বাজারে প্রবেশ সহজ করতে, সমুদ্র পথে বীমার খরচ কমাতে এবং বন্দর ও পেমেন্ট সিস্টেমে প্রবেশাধিকার বাড়াতে সহায়তা করবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, এই চুক্তির ফলে খাদ্য নিরাপত্তা এবং শস্যের দামের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের মতো খাদ্য আমদানিকারক দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *