যুদ্ধবন্দী বিনিময়: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বড় পদক্ষেপ!

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধে বন্দীদের বিনিময় প্রক্রিয়া সম্ভবত শুরু হয়েছে। শুক্রবার একজন শীর্ষস্থানীয় ইউক্রেনীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই খবর জানা গেছে। তবে, এই বিনিময় এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি।

যুদ্ধ পরিস্থিতিকে শান্ত করতে তুরস্কের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহ আগে উভয় পক্ষ এক হাজার করে বন্দী বিনিময়ের ব্যাপারে রাজি হয়েছিল। যদিও তুরস্কের সেই আলোচনায় কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এই বন্দী বিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি বড় ধরনের বন্দী বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি দ্রুত কার্যকর হবে।

ট্রাম্পের মতে, এই পদক্ষেপ সম্ভবত যুদ্ধ বন্ধের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি অংশ হতে পারে।

বন্দী বিনিময়কে একটি ‘আস্থা-উদ্যোগ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।

তিনি আরও জানান, উভয় পক্ষ পুনরায় আলোচনায় বসতে নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে। তবে, শান্তি আলোচনায় উভয় দেশ এখনো পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধের প্রধান শর্তগুলো নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে, বন্দী বিনিময় এবং শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশ্ব শান্তির জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে।

তথ্য সূত্র: Associated Press

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *