ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পরেই রাশিয়ার বোমা, ইউক্রেনে শোকের ছায়া!

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, এরই মধ্যে কিয়েভে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়।

এই ফোনালাপে উভয় নেতা ইউক্রেনে আক্রমণ বন্ধের বিষয়ে একটি আংশিক চুক্তিতে পৌঁছেছেন। তবে, এর কয়েক ঘণ্টা পরই কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়।

ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে জ্বালানি ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা বন্ধের কথা বলা হয়েছে। তবে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো যদি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বন্ধ না করে, তাহলে এই চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হবে না।

ফোনালাপ শেষে ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখেন, পুতিনের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে এবং তারা অবিলম্বে শক্তি ও অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। একইসঙ্গে, উভয়পক্ষ একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি এবং এই ভয়াবহ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে দ্রুত কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিয়েভে প্রায় ৪৫টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও গাড়িতে ক্ষতি হয়েছে এবং দুজন আহত হয়েছেন।

পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতে একটি হাসপাতালে ড্রোন আঘাত হানলে একশ জনের বেশি রোগীকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। এছাড়াও, কিয়েভের আশেপাশে কয়েকটি অঞ্চলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, ইউক্রেনও রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা রাশিয়ার ক্রাসনোদার অঞ্চলের একটি তেল ডিপোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের পাঠানো ৫৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আগামী রবিবার সৌদি আরবের জেদ্দায় উভয়পক্ষের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ওয়াশিংটন থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে রাশিয়ার প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।

যদি এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর এটি হবে প্রথম কোনো আংশিক যুদ্ধবিরতি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *