ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ আজ ১,১১৯ দিনে পৌঁছেছে। উভয় দেশের মধ্যে সংঘাতের কারণে বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব অনুভূত হচ্ছে, বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তা এবং জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে।
১৯শে মার্চ তারিখে সংঘটিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিচে তুলে ধরা হলো:
যুদ্ধ পরিস্থিতির সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তীব্র লড়াই চলছে। রুশ বাহিনী সেখানকার বিভিন্ন শহর এবং গ্রামের উপর তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে।
এই হামলায় আবাসিক এলাকা এবং বেসামরিক মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীও তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করেছে। তারা রাশিয়ান সৈন্যদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনে তাদের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম এবং সৈন্যদের ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দেশগুলো আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
তবে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। উভয় পক্ষই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে।
এই যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও, উদ্বাস্তু সংকট একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ ইউক্রেনীয় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।
এই শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। সেইসাথে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে মানবিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া জরুরি।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা