শিরোনাম: কিয়েভে ড্রোন হামলা, পূর্বাঞ্চলে গোলাবর্ষণে হতাহত, যুদ্ধ চলছেই
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ আরও তীব্র রূপ ধারণ করেছে। রবিবার, ২৩শে মার্চ তারিখে কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন হামলা হয়, যার ফলে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন পাঁচ বছরের শিশুও ছিল। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিশকো এই হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন।
হামলায় আবাসিক ভবনগুলোতে আগুন ধরে যায় এবং জরুরি বিভাগের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
একই দিনে, রাশিয়ার সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের পোক্রোভস্ক শহরে গোলাবর্ষণ করে, যাতে তিনজন নিহত হয়। স্থানীয় গভর্নর ভাদিম ফিলাশকিন জানিয়েছেন, ক্রামতোর্স্কে গোলাবর্ষণে একজন আহতও হয়েছে।
পোক্রোভস্ক শহরটি বর্তমানে রুশ সৈন্যদের অগ্রাভিযানের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রবিবার রাতে ইউক্রেনের ৫৯টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে ২৯টি ড্রোন রোস্তভ অঞ্চলে, ২০টি আস্ত্রাখান অঞ্চলে এবং বাকিগুলো ভোরোনজ, ভলগোগ্রাদ, কুর্স্ক, সারাতোভ অঞ্চল ও ক্রিমিয়াতে ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রাসনোদর অঞ্চলের কাভকাজস্কায়া এলাকার একটি তেল ডিপোতে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার পর আগুন লাগে। আগুন নেভানোর জন্য চারটি বিশেষ অগ্নিনির্বাপক ট্রেন সেখানে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালায়, তাহলে রাশিয়া এর “প্রতিসম জবাব” দেবে। তারা আরও জানায়, আলোচনা বানচাল করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের “উস্কানিমূলক” কাজ করা হচ্ছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিল হচ্ছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা