যুদ্ধ: ধ্বংসের ১,১৩০ দিন, কী ঘটল?

মার্চ মাসের ৩০ তারিখে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি: প্রধান ঘটনাগুলো

ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ এক হাজার ১৩০ দিনে পড়েছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে এখনো পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত চলছে। যুদ্ধের ময়দানে উভয়পক্ষের সেনাদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, উভয় পক্ষের সামরিক এবং কূটনৈতিক তৎপরতাগুলোও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। খাদ্য, বস্ত্র এবং চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মানবিক সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশই যুদ্ধ বন্ধের জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি।

সামরিক দিক থেকে দেখলে, উভয় দেশই তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। রাশিয়া একদিকে যেমন তাদের সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করছে, তেমনি ইউক্রেনও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও বোমা বর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলছে নানা আলোচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ শান্তি আলোচনার জন্য মধ্যস্থতা করতে চাইছে। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি।

এই যুদ্ধের প্রভাব বিশ্বজুড়ে অনুভূত হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জ্বালানি সরবরাহ—সবকিছুতেই এর প্রভাব পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি উদ্বেগের কারণ।

এছাড়াও, যুদ্ধের কারণে উদ্বাস্তু সমস্যাও বাড়ছে, যা বিভিন্ন দেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।

যুদ্ধ কবে শেষ হবে, তা এখনো বলা কঠিন। তবে, আন্তর্জাতিক মহল চাইছে দ্রুত এই সংঘাতের অবসান হোক। শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য উভয়পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *