যুদ্ধ চলছে: রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ১,১৭তম দিনে প্রধান ঘটনাপ্রবাহ
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ ১,১৭০ দিনের বেশি সময় ধরে চলছে। এই দীর্ঘ সময়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে দুই দেশ, যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে।
আসুন, জেনে নেওয়া যাক যুদ্ধের ১,১৭তম দিনে সংঘটিত হওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে:
যুদ্ধ দিনের প্রধান ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল পূর্বাঞ্চলে তীব্র লড়াই। রাশিয়া সেখানকার বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ জোরদার করে। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যায়।
উভয়পক্ষের সৈন্যদের মধ্যে ব্যাপক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
কূটনৈতিক তৎপরতা:
যুদ্ধ বন্ধের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দেশগুলো কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনাকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন, কিন্তু দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
মানবিক সংকট:
যুদ্ধ বেড়ে যাওয়ায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। উদ্বাস্তু ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তাদের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
সামরিক সহায়তা:
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।
এই সহায়তা ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকতে সাহায্য করছে। তবে রাশিয়ার সামরিক শক্তিকে মোকাবেলা করতে এটি যথেষ্ট কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
অর্থনৈতিক প্রভাব:
যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা:
যুদ্ধ কবে শেষ হবে, তা বলা কঠিন। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চললেও, কোনো সমাধানে পৌঁছানো এখনো সম্ভব হয়নি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা