যুদ্ধ এখনো চলছে, আর এর আঁচ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (মে ১৪) রাশিয়ার এই অঞ্চলের গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্লাদকভ টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন প্যারামেডিকও রয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার অনীহার কারণে দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে ফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক পরিষেবা এবং তেল ও গ্যাস খাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রাংক-ওয়াল্টার স্টাইনমায়ারের বক্তব্যেও একই সুর শোনা গেছে। তিনি জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হলে ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে পারে।
অন্যদিকে, ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইউক্রেন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ আরও অনেক বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন পদক্ষেপ কিয়েভের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, চলমান এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক লেনদেনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই সংঘাতের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়ছে, তার ফলস্বরূপ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা