যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে যুদ্ধের ১,১৮৩তম দিনেও চলছে ধ্বংসযজ্ঞ, জাতিসংঘে শান্তির আহ্বান। আজ, ২২শে মে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ১,১৮৩তম দিন।
যুদ্ধের ময়দানে এখনও চলছে ধ্বংসলীলা, এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তির বার্তা ক্রমাগত উচ্চারিত হচ্ছে। উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা কার্যত বন্ধ থাকলেও, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দেশগুলো শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি:
যুদ্ধ দিনের শুরুতে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অব্যাহত ছিল। সেখানকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীও পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে রাশিয়ার আক্রমণের তীব্রতা এখনো অনেক বেশি।
সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু:
যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে সংঘর্ষের প্রধান কেন্দ্রগুলো হলো বাখমুত, খারকিভ এবং দোনেৎস্ক অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলোতে উভয় পক্ষের সৈন্যদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
বেসামরিক মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে, এবং খাদ্য ও পানীয়ের অভাব দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও যুদ্ধ বন্ধের জন্য প্রস্তাব আনা হয়েছে, তবে রাশিয়া ভেটো দেওয়ায় তা কার্যকর করা যায়নি।
অর্থনৈতিক প্রভাব:
এই যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ।
খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে গম ও অন্যান্য খাদ্যশস্যের সরবরাহ কমে যাওয়ায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট:
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও কিছু প্রভাব পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে।
সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তবে যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।
ভবিষ্যতের পূর্বাভাস:
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুদ্ধ সহসা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম। উভয় পক্ষই তাদের অবস্থান ধরে রাখতে চাইছে।
তবে আন্তর্জাতিক চাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা