যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা এখনো অব্যাহত। তবে কিয়েভের অভিযোগ, রাশিয়া এক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করছে।
ইউক্রেন সরকারের দাবি, মস্কো যেন আলোচনার টেবিলে আসার একটা ভান করছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধের পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে আনা।
ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়া আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির একটা মিথ্যা চিত্র তৈরি করতে চাইছে। এর মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে এবং একইসঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
কিয়েভ মনে করে, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ তাদের সামরিক শক্তি বাড়ানোর এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলের একটি কৌশল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধ তীব্র হয়েছে। বাখমুতসহ বিভিন্ন শহরে এখনো লড়াই চলছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া আলোচনার প্রস্তাব দিলে, অনেকে এটিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনার প্রস্তাবের আড়ালে রাশিয়া সম্ভবত তাদের সামরিক লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করছে।
ইউক্রেন সরকার তাদের মিত্র দেশগুলোকে রাশিয়ার এই ধরনের কৌশল সম্পর্কে সতর্ক করেছে। তারা পশ্চিমা দেশগুলোকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
কিয়েভ মনে করে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে তাদের এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।
এদিকে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মস্কো বলছে, তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত এবং শান্তির জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।
তবে, কিয়েভের সন্দেহ দূর করতে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার আসল উদ্দেশ্য বোঝা কঠিন। তবে, শান্তি আলোচনায় বসার আগে উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরি করা জরুরি।
এই মুহূর্তে, যুদ্ধের ময়দানে উভয় পক্ষের সামরিক তৎপরতা অব্যাহত থাকায় আলোচনা কতদূর গড়াবে, তা বলা কঠিন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে, যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা